বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ চাকী ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে আবেদন করেন।
পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিকেলে আদালত জোবায়েনুরের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বগুড়া দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্র জানায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রুপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ব্যবস্থাপক জোবায়নুর রহমান এফডিআর করা গ্রাহকের নামে ভুয়া ২ কোটি ৬৯ লাখ ১ হাজার ১ টাকা ঋণ উত্তোলন করে সেই টাকা নিয়ে উধাও হন।
ঘটনাটি তদন্তে রাজশাহী বিভাগীয় একটি তদন্ত টিম সে সময় রুপালী ব্যাংকের ওই শাখায় বিভিন্ন গ্রাহকের হিসাব পর্যবেক্ষণ করেন। তাতে অনেকের গচ্ছিত টাকার হিসেবে গড়মিল দেখতে পান। ওই টিমের প্রধান এম এম জি তোফায়েলের সঙ্গে ছিলেন সুলতান মাহমুদ, শাহীন মাহমুদ, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
এ ঘটনায় বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ব্যবস্থাপক জোবায়নুর রহমান ও মহাস্থান হাটের ইজারাদার আজমল হোসেনকে আসামি করা হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, ঘটনার দিন জোবায়েনুর প্রতিদিনের মতোই ব্যাংকে এসেছিলেন। তিনি ব্যাংক চলাকালে চা খাওয়ার কথা বলে বের হয়ে যান। এরপর আর ফেরেননি। ওইদিন তিনি ব্যাংকের যাবতীয় চাবি, নথিপত্র, ব্যক্তিগত ব্যাগ রেখে যান। ঘটনাটি জানাজানি হলে বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য। ওই ব্যবস্থাপক এফডিআর করা গ্রাহকদের নামে ভুয়া ঋণ উত্তোলন করে সটকে পড়েন। তবে শেষমেষ র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন অর্থ আত্মসাৎকারী সেই ব্যবস্থাপক।
জোবায়নুর রহমান বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার আগুনিয়াতাইর গ্রামের মনতেজার রহমানের ছেলে। স্ত্রীসহ তিনি শহরের নামাজগড় এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
** অর্থ আত্মসাৎকারী রূপালী ব্যাংকের সেই ব্যবস্থাপক আটক
বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এমবিএইচ/আরআইএস/