রোববার (০৮ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আবেগাপ্লুত শাহরিন বলেন, আমি মৃত্যুকে খুবই কাছ থেকে দেখেছি।
এর আগে শাহরিনকে হাসপাতাল ছাড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ওই সময় ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, শাহরিন এখন সুস্থ। তার শরীরের দগ্ধ স্থানে লাগানো চামড়া শুকিয়ে গেছে। তবে দুই সপ্তাহ পর আবারও ফলোআপের জন্য তাকে হাসপাতালে আসতে হবে।
আরও পড়ুন>>
** হাসপাতাল ছাড়লেন শাহরিন, আগামী সপ্তাহে অ্যানি
শাহরিন আহমেদ; গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরে। তবে থাকেন রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস-এ। উত্তরার স্কলাস্টিকায় কর্মরত রয়েছেন তিনি।
গত ১২ মার্চ হিমালয় কন্যা খ্যাত নেপালে গিয়েছিলেন ঘুরতে। ওইদিন ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে যায় তাকে বহনকারী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইটটি।
এতে শাহরিনসহ ১০ বাংলাদেশি যাত্রী আহত হন। আর নিহত হন ৫০ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ২৬ জন।
দুর্ঘটনার দুইদিন পর কাঠমাণ্ডু থেকে আহত শাহরিনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রোববার মা ফেরদৌসী মোস্তাক ও ভাইয়ের সঙ্গে বাসায় ফিরলেন শাহরিন।
এদিকে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর শাহরিন ছাড়াও দেশে আনা হয় ছয়জনকে। তাদের মধ্যে শাহীন ব্যাপারী নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কবির হোসেনকে। আর নেপাল থেকে ফেরতের পর চিকিৎসাধীন মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও শেখ রাশেদ রুবায়েতও হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আর দুর্ঘটনায় স্বামী-সন্তান হারানো চিকিৎসাধীন আলমুন নাহার অ্যানিকে বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র আগামী সপ্তাহে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘অ্যানীও এখন ভালো আছেন। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে অ্যানিকেও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এজেডএস/এমএ