রোববার (০৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওয়াহেদুজ্জামান শিকদার এ আলোচিত মামলার রায় দেন।
মোস্তাফিজুর মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া গ্রামের শমসের মল্লিকের ছেলে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের বিশেষ আদালতের সরকারি কৌশুলী মুলতান উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির (বিসিডব্লিউএস) সংগঠক এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিনুলকে ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় মোস্তাফিজুর ও এক নারী তার অফিস থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তিনি ফিরে না আসায় তার স্ত্রী হোসনে আরা দু’দিন পর ৬ এপ্রিল আশুলিয়া থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এদিকে পরদিন ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ব্রাহ্মণশাসন মহিলা কলেজের সামনে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশ থেকে সকালে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন মিয়া বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমিনুলের স্ত্রী, কন্যা এসে থানায় সংরক্ষিত ছবি দেখে আমিনুলকে শনাক্ত করেন। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে আমিনুলের মরদেহ ৯ এপ্রিল টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান থেকে তুলে তার বাড়িতে নিয়ে পুনরায় দাফন করা হয়।
মামলাটি প্রথমে ঘাটাইল থানার এসআই আবুল বাশার ও পরে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দুলাল হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির তদন্ত করেন। সর্বশেষ সিআইডির ঢাকা মেট্রোপলিটনের কোতায়ালি ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল কবির তদন্তের দায়িত্ব পান এবং তদন্ত শেষে মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সকালে আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন গোলাম মোস্তফা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮ আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা
আরবি/