এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে দুলাল নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান অভিযুক্ত মুকবুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।
ভিকটিম একটি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তার ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত ২৭ মার্চ বিকেলে ওই ছাত্রী তার বাড়ির পাশের বাগানে পানি দিচ্ছিল। এ সময় একই এলাকার বখাটে মুকবুল তাকে জোরপূর্বক পাশের বাগানে নিয়ে যায়। এ সময় মুকবুল ও তার সহযোগী দুলালসহ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে বিষয়টি কাউকে বললে তাকেসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয় তারা। ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মুকবুল। এ সময় দৌঁড়ে বসতঘরে চলে এলে তার বাবা ও ভাবির সামনে তাকে মারধর করে তারা। একপর্যায়ে দুলালের সঙ্গে ওই ছাত্রীকে বসিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে আগের ঘটনাটি অভিভাবকদের কাছে জানান ওই ছাত্রী।
বিষয়টি স্থানীয়দের জানানোর পর বুধবার (০৪ এপ্রিল) রাতে মুকবুল ও দুলালকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত দুলাল বশিকপুর ইউনিয়নের বড় রশিদপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে ও মুকবুল একই গ্রামের হাবিব উল্যার ছেলে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এসআর/আরবি
