ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

পাথর লুটে কারা জড়িত সেটা প্রকাশ পাবে প্রতিবেদনে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫০, আগস্ট ২৭, ২০২৫
পাথর লুটে কারা জড়িত সেটা প্রকাশ পাবে প্রতিবেদনে

পাথর লুটের ঘটনায় কারা জড়িত, সেটা স্পষ্ট করে প্রতিবেদনে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) ও উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জাহেদা পারভীন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউসে গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব নিয়ে এসেছি।

সুতরাং এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্যই করবো না। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে—কারা জড়িত আর কারা নয়।

তিনি আরও জানান, তদন্তের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ পাথর ব্যবসায়ী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সবার সঙ্গে কথা বলা হবে। আমরা কাজ শেষ না করে মন্তব্য করতে চাই না। আপাতত কাজই করছি, বলেন তিনি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, আমরা স্পট পরিদর্শন করেছি। স্বচক্ষে দেখে ধারণা নিয়েছি। সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই। সবকিছু পর্যালোচনা করে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিষয়গুলো উল্লেখ করবো। এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। তারা তাদের তদন্ত করবে, আর মন্ত্রীপরিষদ আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি সেটি পালন করছি।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) তদন্ত কমিটি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর কোয়ারি, পর্যটনকেন্দ্র ও রেলওয়ে বাংকার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।

গণশুনানিতে অংশ নেন বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি, ট্রাক পরিবহন মালিক সমিতি, পাথর ব্যবসায়ী সমিতি ও সাংবাদিক নেতারাও বক্তব্য দেন।

এর আগে, গত ২০ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ওসির নামও অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ৪২ জন রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীর নামও প্রকাশ করেছে দুদক।

দুদকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাথর লুটপাটে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা ও যোগসাজশ ছিল। এদিকে জেলা প্রশাসনের আরেকটি তদন্ত কমিটিও প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে শতাধিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলেও কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এনইউ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।