রোববার (০১ এপ্রিল) রাতে খুলনায় যাওয়ার পথে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, বোরহান রামগঞ্জের নোয়াগাঁও থেকে গ্রেফতার হয়।
সোমবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে রামগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন।
এসপি জানান, গত ২৩ মার্চ দুপুরে আইসক্রিম খাওয়া ও টিভি দেখার কথা বলে উপজেলার পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের রুবেল তৃতীয় শ্রেণিতে একই বাড়ির মাদ্রাসাপড়ুয়া নুশরাতকে তার ঘরে ডেকে নেয়। এরপর জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়।
পরে ঘরের স্ট্রীলের আলমারির ওপর দু’দিন চট দিয়ে বেঁধে রাখে। ঘটনার দুইদিন পর বন্ধু বোরহানের সহযোগিতায় রাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে বস্তাবন্দি করে নুশরাতের মরদেহ তিন কিলোমিটার দূরে একটি খালের ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়। পুলিশের কাছে রুবেল এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান এসপি।
নুশরাত ফয়েজে রাসূল নূরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ঘাতক রুবেল সর্ম্পকে তার ভাতিজি।
সদ্য বিবাহিত রুবেল উপজেলার পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের প্রবাসী মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও ঢাকার পোশাক ব্যবসায়ী।
থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ খুলনায় যাওয়ার পথে রুবেলকে গ্রেফতার করে। এসময় নুশরাতের মরদেহ বহনকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাগ, ব্যবহৃত জুতা ও শীতল পাটি উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে জানা গেছে, নুশরাতকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর গত ২৬ মার্চ উপজেলার কাঞ্চনপুরের বক্ষ্রপাড়া এলাকার ব্রিজের নিচ থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা ও রামগঞ্জের বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এসআর/এসআরএস