সোমবার (০২ এপ্রিল) সকালে ঢাকা ওয়াসার কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহে ঢাকা ওয়াসার প্রস্তুতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
ওয়াসার এমডি বলেন, কোথাও যেন তিন ঘণ্টার বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। ঢাকা শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, টানা ১০ দিনও যদি বৃষ্টি হয় ঢাকার কোথাও পানি জমবে না। যদি না ভারি বৃষ্টি হয়। তারপরেও আমরা সেচ দিয়ে যতদ্রুত সম্ভব পানি অপসারণ করছি।
তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা শহরে একসময় ৬৫টি খাল ছিলো, ইতিহাস তাই বলে। আমরা এখন ২৬টি খাল দেখছি। খালের তো অস্তিত্বই নেই। যদি ৬৫টি খাল আর ৫টি নদী থাকতো তাহলে তো জলজট নিয়ে কথাই বলতে হতো না।
তিনি বলেন, খাল দখল হচ্ছে, তবে আমরা খাল দখলের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দিই না, দেবোও না। তিনি যত বড় মাস্তানই হোন, আর যাই হোক।
শুষ্ক মৌসুমে পানির সমস্যা হবে না: ওয়াসা
খাল দখলে ওয়াসার যোগসূত্র রয়েছে এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে এমডি বলেন, আমি শতভাগ অস্বীকার করছি, খাল দখলে ওয়াসার কেউ জড়িত নয়। এটা এতো উপরে যে, জড়িত থাকতে হলে আমাকে বা আমার লেভেলের কাউকে জড়িত থাকতে হবে। খাল দখল কোনো চুনোপুঁটির কাজ নয়। তারপরেও যেভাবেই হোক খাল দখল হচ্ছে।
তাকসিম এ খান বলেন, ২০০৫ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসন খালগুলোকে আমাদের অধীনে দেয়। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে খালে পাড় বেঁধে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ১৩টি খালের পাড় বাঁধানো হয়ে গেছে। খালের পাড় না বেঁধে যতই উচ্ছেদ করি না কেন লাভ হবে না। আমরা খালের ব্যাপারে কাউছে ছাড় দিইনি, দেবো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এসএম/জেডএস/জেএম