রোববার (১ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মংক্যচিং চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আশুতোষ চাকমা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমা প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনের পর থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও দিদারুল আলম গং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে।
গত ২৪ মার্চ ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা রাসেল শেখকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রাসেলের মা খোদেজা বেগম বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় পৌর মেয়র রফিকুল, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা হয়। মামলায় ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম ও তার ছোট ভাই দিদারুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়নি।
২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাহেদুল আলম তার ভাই রফিকুল আলম ও দিদারুল আলমের হামলায় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন, কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ ২৪ নেতাকর্মীকে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
বিগত দুই দশক ধরে খাগড়াছড়িতে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মেয়র রফিকুল আলমের প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন থেকে বার বার আশ্বস্ত করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। স্মারকলিপিতে অবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
আরআর