ঢাকা, রবিবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে টিআইবির ৯ সুপারিশ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬:৫২, এপ্রিল ১, ২০১৮
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে টিআইবির ৯ সুপারিশ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মানববন্ধন/ ছবি: সুমন শেখ

আইনগতভাবে অনেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উল্লেখ থাকলেও যে মাত্রায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সে মাত্রায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দৃষ্টান্ত নেই বলে অভিযোগ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) রিসার্চ পরিচালক রফিকুল হাসান।

তিনি বলেন, অধিকাংশ সময়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিতরণের অভিযোগে শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী পর্যায়ে শাস্তির উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। বাস্তবে ফাঁস প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টরা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থেকে যান।

ফলে প্রশ্ন ফাঁস রোধে তা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।

রোববার (০১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন রফিকুল হাসান।

মানববন্ধন থেকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) প্রশ্নপত্র ফাস রোধে ৯টি সুপারিশ তুলে ধরে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মানববন্ধন/ ছবি: সুমন শেখ
সুপারিশগুলো হলো- ‘পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) (সংশোধন) আইন, ১৯৯২’ এর ৪ ধারা পুনরায় সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা পূর্বের মতো সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান প্রণয়ন এবং নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা; কোচিং সেন্টার নিষিদ্ধকরণে সরকারের ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২’ এর অস্পষ্টতা দূর করা এবং কোচিং বাণিজ্যে বন্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা; প্রশ্নফাঁস রোধ ও সৃজনশীল পদ্ধতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গাইড বইয়ের আদলে প্রকাশিত সহায়ক গ্রন্থাবলী বন্ধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা; তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে তদারকি বাড়ানো ও প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তি নিশ্চিত করা; ধাপ কমিয়ে প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণের কাজটি পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা এবং পরবর্তীতে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা; প্রশ্নফাঁস নিয়ে গঠিত যেকোনো তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; শিক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনাগত যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা; প্রশ্নফাঁস রোধে বহুনির্বাচনী প্রশ্নব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা; পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্নপত্রের একাধিক সেট রাখা।

মানববন্ধনে অব্যাহত প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), স্বচ্ছতার জন্য নাগরিক (স্বজন), ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) ও ইয়েস ফ্রেন্ডস গ্রুপ উদ্বেগ প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।