ঢাকা, রবিবার, ৮ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

সারাদেশে কালবৈশাখীর হানা, নদীতে ২ নম্বর সর্তকতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৫৭, মার্চ ৩০, ২০১৮
সারাদেশে কালবৈশাখীর হানা, নদীতে ২ নম্বর সর্তকতা বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় পথ চলছেন এক তরুণী, রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ছবিটি তুলেছেন সুমন শেখ

ঢাকা: সারাদেশে কালবৈশাখী হানা দিয়েছে। যা এখন ঘনঘন হবে। সঙ্গে থাকবে শীলাবৃষ্টিও। কালবৈশাখীর হানায় দেশের নদীবন্দরগুলোতে দেওয়া হয়েছে সর্তকতা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েকদিন থেকেই দেশের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) থেকে তা বেড়েছে।

শুক্রবার (৩০ মার্চ) দেশের সব বিভাগেই শুরু হয়েছে কালবৈশাখী, সঙ্গে শিলা ঝড়ছে।
 
শুক্রবার (৩০ মার্চ) রাত ১টা পর্যন্ত দেওয়া ‍এক পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদী বন্দরকে ০২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।  

এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বজ্র/বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরকে ০১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 
আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এখন কালবৈশাখীর সময়। এটা ঘনঘন হবে। শুক্রবার দেশের সব বিভাগের ওপর দিয়েই এটা বয়ে যাচ্ছে। তবে সামুদ্রিক সতর্কতা নেই। ভারী বৃষ্টিপাতেরও কোনো পূর্বাভাস নেই। শুক্রবার দেশের সবচেয়ে বেশি ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে তেঁতুলিয়ায়।
 
এদিকে রাজধানীতেও হঠাৎ কালবৈশাখী হানা দেয়। দুপুরের পর থেকে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাত হলেও বিকেল চারটার পরে আকাশ একেবারে ঘনকালো রুপ ধারণ করে।
 
বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্টরা জানিয়েছেন, দেশের অনেক স্থানে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখীতে ঘরের টিনের চালা পর্যন্ত ফুটো হয়ে গেছে।
 
বিকেলে হঠাৎ ধূলিঝড়ে রাজধানীর সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দমকা বাতাসে অনেক হালকা যান ও মোটরসাইকেল আরোহীকে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে হয়েছে। সাধারণ পথচারীরা ছুটোছুটি করে বিভিন্ন দোকানের ছাউনি বা বিল্ডিংয়ের কার্নিশে আশ্রয় নিয়েছেন।
 
ঝড়ো হাওয়ায় সব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার উপক্রম হলেও বৃষ্টিপাত তেমন হয়নি কোথাও।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।