ধূলিঝড়ে নাস্তানাবুদ হয়েছেন নগরবাসী। আর গ্রামাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে তাপদাহ বয়ে গেলেও জুমার নামাজের পর আকাশে মেঘ জমতে থাকে। হঠাৎই শুরু হয় ধূলিঝড়। এতে অনেক এলাকার সাইনবোর্ড, কেবল সংযোগের তার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিভিন্ন সড়কে থাকা তোড়ন হেলে পড়ে। এসময় কয়েক দফা বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটে।
ঝড়ের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় মহানগরীসহ আশপাশের উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ধীরে ধীরে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, ঝড় বয়ে গেলেও এটি কালবৈশাখী নয়। সাধারণত বাতাসের গতিবেগ ২০ নটিকেল মাইল হলে তাকে কালবৈশাখী বলা হয়। কিন্তু শুক্রবার ঝড়ের সময় রাজশাহীতে ঝড়ের গতিবেগ ছিলা মাত্র ৮ নটিকেল মাইল। অর্থাৎ এটি কালবৈশাখী নয়। ঝড়ের শেষে মহানগরীসহ আশপাশের এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। তবে তা রেকর্ড করা মতো নয়।
এটি মৌসুমি ঝড়বৃষ্টি। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এটা স্বাভাবিক। এজন্য এই মৌসুমকে ঝড়বৃষ্টির মৌসুমও বলা হয়। তবে রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৭ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ এবং বিকেল ৩টায় ছিলো ৭২ শতাংশ; জানান আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম।
এদিকে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি স্থানে এবং খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের এক বা দুই স্থানে ঝড়ো হাওয়া ও ঘূর্ণিঝড়সহ বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এসএস/জেডএস