শুক্রবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আকস্মিক এ কালবৈশাখীর ঝড় আঘাত হানে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে একটানা চলা এ শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ভুট্টা, ধান, উঠতি গম ও তরমুজের ব্যাপক ক্ষতিতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিলার আঘাতে ভুট্টার গাছ, খেতের পাকা গম ও গজিয়ে ওঠা সবুজ বোরো ধানের চারা মাটিতে শুয়ে পড়েছে।
পীরগঞ্জের জাফরপাড়া, মোনাইলসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা জানান, ধানের গাছ এখন বেশ বাড়ন্ত। ধানও গজাতে শুরু করেছে। কিছুদিন পরই দৃশ্যমান হতো ধান। কিন্তু শুক্রবার দুপুরের এই শিলাবৃষ্টিতে মাটির সঙ্গে ধান মিশে গেছে।
ঝরে গেছে আমের গুঁটি; আধ পাকা কিংবা পাকা গম আর ভুট্টা মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এগুলো থেকে ফলন পাওয়া এবং গম থেমে বীজ পাওয়ার কোনো ভরসা দেখছেন না স্থানীয় কৃষকেরা।
পীরগঞ্জের মোনাইল গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী রফিক মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, ‘একেকটা শিলার ওজন আধা কেজি কেজি থেকে এক কেজি। গত ৩০ থেকে ৪০ বছরে এমন বড় বড় শিলা দেখিনি। ৪০ মিনিটের মতো স্থানীয় ওই ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ফসলের সর্বনাশ হয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম ও লিচুর ফলনে। ’
পাশের গ্রাম জাফরপাড়ার বাসিন্দা শাহনূর ইসলাম লেলিন (৪৫) বলেন, সাড়ে তিন থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত শিলা পড়েছে। যেখানে পড়েছে একেবারে তেঁতলে দিয়েছে। মাঠের ধান ক্ষেতে একেবারে পিষে গেছে।
তিনি জানান, মাঠে তার সেচ মেশিনের ঘরটিও ঝড়ে উড়ে গেছে। এছাড়া গ্রামের ৫-৭ বছরের পুরানো টিনের ঘরের টিনগুলো ভিন ভিন করে দিয়েছে শিলা বৃষ্টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এসআই/এমএ