বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দখিল করতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূঁইয়া জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়েই তদন্তের কাজ শুরু করেছি। তদন্তে দেখা হবে এ ব্যাপারে বিউটির পরিবার থানা এবং আদালতে গিয়েছিল কি না। পাশাপাশি পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। সোমবারের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্তি করেন তিনি।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গত ১৭ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় শায়েস্তাগঞ্জের পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন হাওর থেকে বিউটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
পরে এ ঘটনায় বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে ১৭ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ইসমাইলকে আটক করে। কিন্তু মূল হোতা বাবুলকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি সদস্য কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার দুই সপ্তাহ পর বিউটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
আরবি/