বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চুন্নু ব্যাপারীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মৃত চুন্নু ভোলা সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের সৈয়দ আহম্মদ ব্যাপারীর ছেলে।
চুন্নুর ভাই হারুন ব্যাপারী জানান, মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) চট্রগ্রাম স্টেশন রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন চন্নু। ওইদিন রাতে তাকে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু পঙ্গু হাসপাতালের সামনে এক দালালেন খপ্পরে পড়েন তারা।
ওই দালালের পরামর্শে চুন্নুকে শ্যামলীতে অবস্থিত ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং রাত সাড়ে ১১টায় সেখানে ভর্তি করা হয়। ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সকালে চুন্নুকে অস্ত্রোপচার রুমে নেওয়ার পর সেখানে তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়। পরে বিকালের দিকে হঠাৎ র্যাব অভিযান চালিয়ে চুন্নুসহ অনেক রোগীকে ওই হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে। হাসপাতালটি সিলগালা করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে র্যাব।
র্যাব ফোর্সের (কুর্মিটোলা) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, এক শিশুকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে শ্যামলীর ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আমরা অভিযান চালাই। হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে চুন্নুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢামেকের নতুন ভবনে ভর্তি করা হয় এবং বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সাত জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এদেরমধ্যে আনোয়ার ও হাসান নামে দুই ভুয়া ডাক্তার ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এজেডএস/এনএইচটি