লাবনী ওই গ্রামের বাবুল হোসেন বাবুর মেয়ে ও স্থানীয় কাঠাল বাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তবে ভর্তি হওয়ার পর সে আর কলেজে যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ওই ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেনা পুলিশ। বর্তমানে এই ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দুর্গাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চৌপুকুরিয়ার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম রেজা তাকে জানিয়েছেন, লাবনী দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলো। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হলেও সুস্থ না হওয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলো লাবনী। সকালে বাড়ির লোকজন বাইরে চলে গেলে ফিরে এসে দেখেন ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাবনীর মরদেহ ঝুলছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে নামিয়ে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ উদ্ধারের জন্য থানায় খবর দেন পরিবারের লোকজন।
খবর পেয়ে দুপুরে লাবনীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর বিকেল ৪টায় ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে অন্য কিছু পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/