বুধবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। আসলাম বরিশাল নগরের কাউনিয়া মতাসার এলাকার মো. জামাল কবিরাজের ছেলে।
নিহতের বাবা জামাল কবিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, তার ছেলে আসলাম ঢাকায় ওয়াসাতে চাকরি করতো। তার সঙ্গে দক্ষিণ কড়াপুর এলাকার শহীদল ইসলামের মেয়ে ও হাতেম আলী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী শারমিনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। পারিবারিকভাবে কয়েকদিন আগে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে বিয়ের সিদ্ধান্তও হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হওয়ার কথাও ছিলো তাদের।
গত মঙ্গলবার শারমিন ফোন দিয়ে জানায় আসলাম যেন তাদের বাড়িতে না যায় সমস্যা হবে। এ খবর আসলাম জানতে পেরে ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে একাই রওয়ানা দেয়। এরপর তার হাসপাতালে ভর্তির খবর পান তার বাবা।
জামাল কবিরাজ আরও বলেন, খবর নিয়ে জানতে পারেন মেয়ের পরিবারের লোকজন আসলামকে মারধর করে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। আসলামের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে মেয়ের পরিবার লাপাত্তা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে মেয়ের পরিবারের বরাত দিয়ে নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ও হাসপাতালের এক স্টাফ বাংলানিউজকে জানান, শারমিনের পরিবার বিয়েতে মত দিলেও ছেলের পরিবার এতে রাজি ছিলো না। আসলাম পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বিষপান করে মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে মেয়ের পরিবারের লোকজনের কাছে আসলাম বিষয়টি জানালে তারা উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসলামের মৃত্যু হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মেয়ের বাড়িতে বসেই আসলাম বিষপান করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তবে জোরকরে বিষপান বা মারধরের বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এমএস/জিপি