বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার হলরুমে সংস্থাটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র উপ-পরিচালক রওশন জাহান পারভীন বলেন, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭' তে বিশেষ পরিস্থিতিতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়ের যে বিধান রাখা হয়েছে, তা শিশু নীতি-২০১১ ও শিশু আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, বিশেষ বিধানের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে সব শিশুকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে বলা হয়েছে। কিন্তু এখানে বিয়ে দেওয়ার নির্ধারিত কোনো বয়সের নির্দেশনা নেই। একই সঙ্গে আইনে শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সর্বোত্তম স্বার্থ বলতে কি বুঝানো হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই। আইনটিতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়ের ক্ষেত্রে বাবা, মায়ের এবং আদালতের অনুমিত নেওয়ার বিধান থাকলেও বিয়ের বিষয়ে শিশুর সম্মতি নেওয়ার ব্যাপারে কোনো কিছুই বলা হয়নি। এই বিষয়টি যেমন হতাশাজনক এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘন।
রওশন জাহান বলেন, এই সময়ে আইনের এই বিধানটি জন্য নারীর প্রতি যৌন, শারীরিক নির্যাতন ও সহিংসতাকে উৎসাহিত করবে। এছাড়া সমাজের এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ ব্যালবিবাহকে আরও উৎসাহিত ও আইনটির অপব্যবহার করার চেষ্টা করবে।
এ সময় আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইনটিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে শিশুর বিয়ের বয়সের বিষয়ে কোনো ধরনের দাবি না থাকলে আইন করে বৈধতা দেওয়ার হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষিত বিবেচনায় ছেলে শিশুদের মনো-সামাজিক অবস্থানকে ঝঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে অপ্রাপ্ত বয়সে পরিবার গঠনের দায়িত্বের বোঝা ছেলে শিশুদের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে বলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনটির সঞ্চালনা করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৭
এমএ/টিআই