সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার চার নম্বর আমলি আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূর নাহার বেগম শিউলী এ রায় দেন।
সাজার আদেশপ্রাপ্তরা হলেন-কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা সদরের পশ্চিমগাঁও গ্রামের বাবুল সাহা (৫৫), তার স্ত্রী গীতা রাণী সাহা এবং তিন ছেলে মিঠুন সাহা (২৩), টুটুল সাহা (২৬) ও শিমুল সাহা (১৯)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বাবুল সাহার সঙ্গে পশ্চিমগাঁওয়ের মো. কোরবান আলীর ছেলে জাকির হোসেনের বিরোধ ছিল। ২০১০ সালের ৬ নভেম্বর রাতে জাকির বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাকে কুপিয়ে জখম করেন বাবুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ অবস্থায় স্থানীয়রা জাকিরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরদিন জাকিরের বড় ভাই এরশাদ মিয়া ওরফে খোকন (৩২) বাদী হয়ে একই গ্রামের মরণ সাহা, মৃত সুধীর সাহার ছেলে অনুপম সাহা ওরফে আবু সাহা (৪৬), হারাধন সাহার ছেলে জয়দেব সাহা, স্থানীয় বাবুল এবং তার স্ত্রী ও তিন ছেলেকে আসামি করে লাকসাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লাকসাম থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল বাশার ২০১১ সালের ৮ মার্চ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১১ জনের মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এ রায় দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবু তাহের ও অ্যাডভোকেট আবু সায়েম। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
এসআই