ঢাকা, সোমবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২৩ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

ঢাকাবাসী যেন মিস করে, তেমন কাজ করতে চান মেয়র আনিসুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৪৭, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
ঢাকাবাসী যেন মিস করে, তেমন কাজ করতে চান মেয়র আনিসুল বক্তৃতা করছেন মেয়র আনিসুল হক। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘এমন কাজ করে যাবো, পাঁচ বছর পর ঢাকাবাসী যেন আমাকে মিস করে’। এ প্রত্যয়বাণী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের। 

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বারিধারার একটি হোটেলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন তিনি। ডিএনসিসির ‘আরবান ডিজ্যাস্টার রেসিলেন্স ইনডেক্স (ইউডিআরআই)’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আনিসুল হক বলেন, “অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন ৫ বছর পর ঢাকাকে কেমন দেখতে চান। আমি সবসময় চিন্তা করি, মেয়র হিসেবে সম্মানের সঙ্গে যেন চলে যেতে পারি। আর এমন কাজ করে যাবো, যেন ঢাকাবাসী আমাকে মিস করে। আমি ঢাকাকে গ্রিন সিটি, নিরাপদ  ও লাইটিং সিটি করে যেতে চাই। ”

“আমরা এখন ভয়ে ভয়ে  থাকি। আশেপাশের দেশে বড় ভূমিকম্প হচ্ছে। রিখটার স্কেলে ৭, ৭.৫ এবং ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এখন কল্পনা নয়, বাস্তব। ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৬টি বিল্ডিং ধ্বংস হয়ে যাবে। ৭৫ হাজার বিল্ডিং পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৯৬ হাজার দালান নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। প্রায় দেড় লাখ মানুষ মারা যাবে। ”

এ ধরনের দুর্যোগের জন্য আমরা কি কোনো প্রস্তুতি নিয়েছি? এমন প্রশ্ন রেখে মেয়র বলেন, এক রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ সরাতে ৩ থেকে ৪ মাস লেগে গেছে। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন করলেও, অভাব সুশাসনের। যে কোনো মুহূর্তে দুর্যোগ হতে পারে- এজন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। এ কারণে কাউন্সিলরদের সচেতন হতে হবে।  নিজেদের এলাকার  সমস্যা বের করতে হবে। জনগণের সচেতনতা বাড়াতে হবে।  

মেয়র কথা দেন, “দেড় বছরের মধ্যে ঢাকা সিটিকে সুন্দর লাইটিং করে দেবো। এজন্য ইউরোপ থেকে কম খরচে ভালো মানের লাইট নিয়ে আসবো। উত্তর সিটিতে নিরাপত্তার জন্য ৫ হাজার সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। এরইমধ্যে ১ হাজার ৪৩টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এছাড়া ৮ ফুটের ফুটপাত ১৫ ফুট করছি। ”

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাইকার প্রতিনিধি তাকাতোশি নিশিকাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স বিভাগের ডিন ড এ এস এম মাকসুদ, সিড এশিয়ার বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রাজিব শ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।