ঢাকা, রবিবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২২ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

নিলয়-দীপনের তথ্য সংগ্রহে কাজ করতো জঙ্গি ফাহিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:২৫, নভেম্বর ১২, ২০১৬
নিলয়-দীপনের তথ্য সংগ্রহে কাজ করতো জঙ্গি ফাহিম

ব্লগার নিলাদ্রী চ্যাটার্জি নিলয় ও লেখক প্রকাশক ফয়স‍াল আরেফিন দীপনকে ‘বড় ভাইয়ের’ নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে। আর এই কথিত ‘বড় ভাই’ আর কেউ নন তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান সাসপেন্ডেন্ট মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া ওরফে ইসতিয়াক।

ঢাকা: ব্লগার নিলাদ্রী চ্যাটার্জি নিলয় ও লেখক প্রকাশক ফয়স‍াল আরেফিন দীপনকে ‘বড় ভাইয়ের’ নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে। আর এই কথিত ‘বড় ভাই’ আর কেউ নন তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান সাসপেন্ডেন্ট মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া ওরফে ইসতিয়াক।

শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।  

খায়রুলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম  হত্যার আগে ব্লগার নিলয় ও প্রকাশক দীপনের বিষয়ে সকল প্রকার তথ্য সংগ্রহ ও তাদের মনিটরিংয়ের জন্য গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো খায়রুল ইসলাম ওরফে ফাহিমকে (২৪)।

খায়রুল ইসলাম ওরফে ফাহিম আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ইন্টেলিজেন্স শাখার সদস্য। তিনি সংগঠনের পুরো আইটি শাখাটি দেখাশোনা করতেন।

বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের পর সংগঠনের বরাদ দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার সংক্রান্ত বিভিন্ন পোষ্ট করতো জঙ্গি সদস্য এই খায়রুল ইসলাম।
 
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ইন্টেলিজেন্স শাখার সদস্য খায়রুল ওরফে ফাহিমকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) পুলিশ।

যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ব্লগার নীলয় ও প্রকাশক দীপনকে হত্যা করার প্রায় ৫ মাস আগে থেকেই তাদের বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে সংগঠনের কথিত ‘বড় ভাই’ মেজর জিয়াকে দেখানো হয়।

ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার বলেন, এরপর থেকে খাইরুলের প্রধান কাজ ছিল ব্লগার নিলয় ও প্রকাশক দীপনকে ফলো করা। তাদের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড ও চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা। তার সঙ্গে আরও ৪/৫ জন কাজ করে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, যারা ধর্ম বিষয় বিভিন্ন উস্কানিমূলক লেখালেখি করে এবং বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশ করে মূলত তাদের তালিকা তৈরি করাই ছিলো খায়রুলের কাজ। আর এসব তালিকা সে মেজর জিয়াকে দিতো। নির্দেশনা পেলে তা অনুসন্ধান করতো তারা।
 
তিনি বলেন, খাইরুল শেওড়াপাড়ায় ৩ দিন, রাজধানীর মোহাম্মদপুর নভোদয় এলাকার একটি বাসায় ৭ দিন ও এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসায় ৭ দিন করে মারকাজ (ট্রোনিং) করে।

২০১৩ সালে আরেক বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। পড়ে সে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে কর্মী হিসেবে যোগদান করে। সে আইটি বিষয়ে পারদর্শী থাকায় সংগঠনের আইটি সেকশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় খায়রুলকে। কথিত বড় ভাই সংগঠনের প্রধান মেজর জিয়ার সঙ্গে ফাখরুলের সরাসরি যোগাযোগ ছিলো বলেও জানান তিনি।

চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর খায়রুলের কথিত বড় ভাই মেজর জিয়ার সঙ্গে ঢাকার আশপাশ এলাকায় দেখা হয়েছিলো বলেও গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় খায়রুল।

**আনসারুল্লাহ বাংলাটিম নেতা ফাহিম আটক
 
বাংলাদশে সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, নভম্বের ১২, ২০১৬
এসজেএ/বিএস    

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।