ঢাকা, বুধবার, ৫ ভাদ্র ১৪৩২, ২০ আগস্ট ২০২৫, ২৫ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

তালায় প্রতিবন্ধী সীমার পাশে ইউএনও

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৭, নভেম্বর ৯, ২০১৬
তালায় প্রতিবন্ধী সীমার পাশে ইউএনও ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বুধবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের নিচে দাঁড়ানো শারীরিক প্রতিবন্ধী সীমা আক্তার। বাবার ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে নিচ থেকে ইউএনওকে খবর দিলেন।

তালা (সাতক্ষীরা): বুধবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের নিচে দাঁড়ানো শারীরিক প্রতিবন্ধী সীমা আক্তার।

বাবার ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে নিচ থেকে ইউএনওকে খবর দিলেন।

সীমার ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে আসেন ইউএনও মো. ফরিদ হোসেন। এরপর সীমার পাশে দাঁড়িয়ে লেখাপড়ার খরচ বাবদ চার হাজার টাকার চেক দিলেন ইউএনও।

চলতি বছরের আগস্ট মাসে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যেমে শারীরিক প্রতিবন্ধী সীমা আক্তারের সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন বের হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসে ইউএনও মো. ফরিদ হোসেনের। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সীমাকে সহায়তার ঘোষণা দেন।

ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সীমাকে দেওয়া হয় চার হাজার টাকার একটি চেক।

সীমা বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্যার আমার বাবার মতো। তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। খবর দিলেই আমার ডাকে সাড়া দেন তিনি। তার কথা ভোলার নয়। ’

সীমা আক্তার তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। দরিদ্র বাবার একার উপার্জনের সংসারে থেকেও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ- ৪ দশমিক ০৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সীমা। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের প্রসাদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ গোলদারের মেয়ে সীমা আক্তার। তিন বোনের মধ্যে সীমা ও রেহানা প্রতিবন্ধী।

সীমার বাবা আব্দুল আজিজ গোলদার নসিমন (ইঞ্জিনভ্যান) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

তালার ইউএনও মো. ফরিদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সংবাদটি পড়েই আমার নজরে আসে সীমার কথা। ওই সময় ঘোষণা দিয়েছিলাম সীমার পাশে দাঁড়ানোর। তা বাস্তবায়ন করলাম। তার পাশে আমি সব সময় থাকব।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৬
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।