ঢাকা, বুধবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

লিপু হত্যা মামলায় রুমমেট কারাগারে

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৬, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
লিপু হত্যা মামলায় রুমমেট কারাগারে

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যা মামলায় তার রুমমেট মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২৩ অক্টোবর) সকালে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) অশোক চৌহান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের পাশ থেকে লিপুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মাথার ডান পাশে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন আছে। ওই আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

মরদেহ উদ্ধারের পর ওইদিন সন্ধ্যায় লিপুর চাচা বশির আলী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছিল।

মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিপুর রুমমেট মনিরুল, বন্ধু প্রদীপ ও হলের দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।

তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার সকালে মনিরুলকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো। দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রদীপকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

লিপু হত্যার রহস্য উদঘাটনে তার রুমমেট ও হলের দুইজন নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ঘটনার ক্লু পাওয়ার জোরালো ধারণা করছে পুলিশ।

নবাব আবদুল লতিফ হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানান, লিপুর মরদেহ উদ্ধারের পর তার একটি স্যান্ডেল তার রুমের ভেতরে ও আরেকটি মরদেহ উদ্ধারের জায়গায় পাওয়া যায়। রুমের সামনে দুই জোড়া জুতা পাওয়া যায়। যা লিপু বা তার রুমমেটের নয়। এতে ধারণা করা হচ্ছে, রুমের মধ্যে অথবা রুমের সামনে কিছু একটা ঘটেছিল।

লিপুর বাবা বদর উদ্দিন জানিয়েছেন, রুমমেট মনিরুল ইসলামের সঙ্গে লিপুর ভালো সম্পর্ক ছিল না। তিনি মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, এক রুমে থাকলেও লিপুর সঙ্গে তার রুমমেটের খুব কম কথা হতো। লিপুর মা বলেছেন, তাদের দু’জনের মধ্যে সম্প্রতি কথা বন্ধ ছিল। তিনি লিপুর রুমমেট মনিরুলের সঙ্গে কথা বলে সম্পর্ক ঠিক করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মনিরুল কথা বলতে চায় নি।

তবে, কি কারণে তাদের মধ্যে কথা বন্ধ হয়েছিল তা জানেন না লিপুর মা।

লিপু ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু থানার মকিমপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
আরবি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।