ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

গণতন্ত্র না ফেরালে সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে: কাদের গনি চৌধুরী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৭, আগস্ট ৫, ২০২৫
গণতন্ত্র না ফেরালে সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে: কাদের গনি চৌধুরী 

ঢাকা: দেশে গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনতে না পারলে সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা চেয়েছিলাম দেশে গণতন্ত্র পূর্ণরূপে ফিরে আসবে।

কিন্তু সংস্কারের মুলা ঝুলিয়ে শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার প্রবণতাই আমরা লক্ষ্য করছি। এটা বাংলাদেশের মানুষ ও সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না।

মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিক সমাবেশে এ কথা বলেন।  

কাদের গনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেখতে চাই। সেই উদ্যোগ গ্রহণ করুন, অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ জানে কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়। অচিরেই যদি আপনারা দেশকে গণতন্ত্রের দিকে ফিরিয়ে না আনেন, আমরা সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। আপনারা সেই জায়গায় নামানোর চেষ্টা করবেন না।  

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।  

বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, আমাদের সাংবাদিকদের দাবি ছিলো সাগর-রুনির হত্যার বিচার হবে। গত এক বছরে বিচারের কোনো অগ্রগতি দেখছি না। হাসিনার মতোই কালক্ষেপন করা হচ্ছে। আমরা সাংবাদিকদের জন্য একটা সুরক্ষা আইনের কথা বলেছিলাম। কিন্তু এক বছরেও সেই সুরক্ষা আইনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনও বাতিল করা হয়নি।  

তিনি বলেন, আমাদের ৬৪ জন সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু বিচারের  কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা চেয়েছি একটা বৈষম্যমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা, কিন্তু তা কোথায়? 

কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্য আমাদের হতাশ করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গতকাল এক উপদেষ্টা বক্তব্যে বলেছেন দেশে নাকি এক-এগারোর প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এটা পরিষ্কার, বাংলার মাটিতে আর কোনো এক-এগারো হতে দেওয়া হবে না। দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার সাহস কে তাদের দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পদে থেকে এসব বক্তব্য দেওয়া যায় না। লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করতেন।  

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আমরা সুস্পষ্ট বলতে চাই, বাংলার মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিস্টকে আসতে দেওয়া হবে না। বাংলার মাটিতে আর কোনো সাংবাদিক হত্যাকারীকে থাকতে দেওয়া হবে না।  

তিনি বলেন, সবশেষে বলতে চাই, আপনারা সাংবাদিকদের দাবিদাওয়াগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিন। আমরা সাগর-রুনি হত্যার বিচার চাই, সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল চাই, সাংবাদিক সুরক্ষার আইন চাই, গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদ মুক্ত চাই। আমরা চাই গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক।  

ডিইউজে সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম প্রমুখ।

জিসিজি/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।