ঢাকা, শনিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৭ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

গুলশানে চাঁদাবাজি: কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ জড়িত কিনা জানতে তদন্ত চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫২, আগস্ট ১, ২০২৫
গুলশানে চাঁদাবাজি: কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ জড়িত কিনা জানতে তদন্ত চলছে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান

রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা বের করতে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তা বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জড়িত কি না, সেটিও গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে এবং দ্রুতই এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।  

রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য বাসায় চাঁদা দাবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদের মধ্যে পাঁচজনকে ঘটনাস্থল থেকেই হাতেনাতে ধরা হয়। পরে পলাতক আরেকজনকে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে গোপীবাগ থেকে জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। অপু নিজেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয়ে এই চাঁদাবাজির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন।

ডিবির একটি সূত্র জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানে আলম অপুকে শনাক্ত করা হয়। তিনি একাধিকবার অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন, তবে অবশেষে গোপীবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে জানে আলম অপু ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ গুলশানে সাবেক এমপির বাসায় গিয়ে নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেন। তারা দাবি করেন, ওই বাসায় "অনিয়ম" হয়েছে এবং তা প্রকাশ না করার শর্তে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেদিনই জোরপূর্বক ১০ লাখ টাকা আদায় করা হয়।

পরে ১৯ জুলাই ও ২৬ জুলাই আরও কয়েকজনকে নিয়ে অভিযুক্তরা আবার ওই বাসায় গিয়ে বাকি ৪০ লাখ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:, মো. সাকাদাউন সিয়াম,সাদমান সাদাব,মো. আমিনুল ইসলাম,ইব্রাহিম হোসেন মুন্না,আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।

পরে রিয়াদের বাসা অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে বাড্ডার আরেকটি বাসা থেকে নগদ ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন তাদের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না এবং দুই সদস্যকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।

একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে সংগঠনের সব শাখার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

এমএমআই/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।