জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং স্থায়ী বিধানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে শাহবাগ মোড়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে তারা এ ঘোষণা দেন।
মাসুদ রানা উপস্থাপিত দাবিগুলো হলো-
১) জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে।
২) শহীদ পরিবার ও আহতদের সম্মান, আজীবন চিকিৎসা, শিক্ষা ও কল্যাণের পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং সংবিধানে রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে অঙ্গীকার করতে হবে।
৩) ন্যায়বিচার ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সংবিধানে সংশোধনী আনতে হবে, যাতে শহীদ ও আহতদের ওপর সংঘটিত দমন-পীড়নের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।
এ লক্ষ্যে একটি স্বাধীন ও ন্যায়সংগত কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়, যেখানে ভুক্তভোগীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত সুরক্ষা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তারা।
সকাল থেকেই ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধা/আহত’-এর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে বক্তারা ‘জুলাই ঘোষণা’ ও ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্থায়ী বিধান প্রণয়নের দাবি তুলে ধরেন।
বৃষ্টির মাঝেও একে একে বক্তারা অস্থায়ী মঞ্চে উঠে বক্তব্য দেন। তারা জুলাই আন্দোলনের পটভূমি, প্রেক্ষাপট এবং আন্দোলনের বিভিন্ন দিক স্মরণ ও বিশ্লেষণ করেন।
সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে সড়কের ওপর অবস্থান নেন। সড়ক দ্বীপে দাঁড়িয়ে একের পর এক বক্তব্য চলতে থাকে। এ সময় চারদিকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। ফলে বারডেমের সামনে দিয়ে পল্টনমুখী কিছু বাস ছাড়া এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিবহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছিল।
এ সময় ‘জুলাই ঘোষণার দরকার, ইন্টেরিম সরকার’, ‘এক দুই তিন চার, জুলাই ঘোষণার দরকার’, ‘রক্ত লাগলে রক্ত নে, জুলাই ঘোষণা দিয়ে দে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ এমন নানা স্লোগানে মুখর ছিল শাহবাগ এলাকা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ রেখে আন্দোলন শুরু করেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’।
জেডএ/এসআইএস