জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
ফোরামের সদস্য সচিব ও সাবেক সচিব কাজী মেরাজ হোসেন বৃহস্পতিবার (জুলাই ৩১) এক বিবৃতিতে এই প্রস্তাব দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তার (সাবেক আমলা বা বেসরকারি দেশী/প্রবাসী ব্যক্তি) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে এবং এসব কর্মকর্তা ন্যূনতম পরবর্তী পাঁচ বছর রাষ্ট্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
এতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের বক্তব্যে প্রতীয়মান হচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের আপামর জনসাধারণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা আগামী সাধারণ নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সকল প্রকার সন্দেহের ঊর্ধ্বে এবং গ্রহণযোগ্য।
এ লক্ষ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না উঠে এবং তাঁরা যেন কোনো ভাবেই কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয় তা নিশ্চিত করার দাবি জানায় বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
ফোরামটির প্রস্তাবগুলো হলো:
১) অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা কিংবা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নির্বাচন পরবর্তী ন্যূনতম পাঁচ বছর কোনো জাতীয় নির্বাচন কিংবা স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না এবং রাষ্ট্রের কোনো লাভজনক পদে (মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা বা সমমর্যাদার অন্য কোন পদে) নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
২) অন্তর্বর্তী সরকারে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তার (সাবেক আমলা বা বেসরকারি দেশী/প্রবাসী ব্যক্তি) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বাতিল হবে এবং এসব কর্মকর্তা ন্যূনতম পরবর্তী পাঁচ বছর রাষ্ট্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
৩) এসব প্রস্তাব অনুযায়ী একটি অধ্যাদেশ অবিলম্বে জারি করে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, প্রশ্নাতীত ভাবে অনুষ্ঠিত করা ও সকল স্তরের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা।
এমআইএইচ/এমইউএম