ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

৪ দফা দাবি জোরপূর্বক প্রত্যাগত ওমান প্রবাসী ফোরামের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৫, জুলাই ১৫, ২০২৫
৪ দফা দাবি জোরপূর্বক প্রত্যাগত ওমান প্রবাসী ফোরামের  সংবাদ সম্মেলনে ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরীসহ অন্যরা।

ঢাকা: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে চাকরি-ব্যবসা হারাদের চার দফা দাবি জোরপূর্বক প্রত্যাগত ওমান প্রবাসী ফোরামের। একইসঙ্গে উপদেষ্টাদের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) শফিকুল আলম মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক ইবরা হাসপাতাল সালতানাত অব ওমান শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সালতানাত অব ওমানে প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশি জীবন জীবিকার জন্য চাকরি বা ব্যবসা নিয়ে বসবাস করে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাস মাসকাট পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কাট, বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট ও বাংলাদেশ সোশ্যল ক্লাব এই তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের মাধ্যমে ও তাদের কারণে ওমানী সরকার বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে। এতে একদিকে যেমন শ্রমবাজার সংকুচিত হয়েছে অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির মধ্যে তিক্ত সামাজিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। যা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্য মর্যাদা হানিকর।

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশ ওমানের জনগণ বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও বন্ধুত্ব পরায়ণ। যা ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও মানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ও প্রভাবমুক্ত শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কাট, বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট ও বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের কার্যক্রম ও তাদের আচরণের কারণে ওমানী সরকার বাংলাদেশিদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ।  

তিনি আরও জানান, ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রকৌশলী-শিক্ষক, ডাক্তার-নার্সসহ অন্যান্য পেশার চাকরি সৃষ্টি ও ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টাদের সরাসরি হস্তক্ষেপে আমাদের চার দফা বাস্তবায়িত হলে আমরা রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও ওমানে বসবাসরত সাত লাখ বাংলাদেশির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

সংগঠনটির দাবিগুলো:

ফ্যাসিবাদের দোসর ও ওমান থেকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অন্যতম কারিগরদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করুন।

ফ্যাসিবাদী সরকারের লেসপেনসারদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ব্যবসা ও চাকরি হারিয়ে ওমান থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাগত বঞ্চিত ও নির্যাতিত প্রবাসীসহ সব রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ওমান প্রবাসীদের চাকরি ও ব্যবসা ফিরিয়ে দাওয়া।

রাষ্ট্রদূত সেকান্দার আলী, রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার, রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান, প্রথম সচিব আবু সাঈদ, দূতালয় প্রধান নাহিদ ইসলামসহ বাংলাদেশ দূতাবাস মাসকাটে সেসময় কর্মরত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ও অত্যাচারী কর্মকর্তাদের বিচার করুন।

মাবেলার ব্যবসায়ী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও বুরাইমির ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান ২৯ জুলাইর মধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন রহিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, পররাস্ট্র উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টাদের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।