ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৫ মে ২০২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

সবুর খানের ‘জাদুর চেরাগ’

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৫৮, মে ১৫, ২০২৫
সবুর খানের ‘জাদুর চেরাগ’ সবুর খান

সবুর খান। বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

নামেই যিনি আলোর ফেরিওয়ালা। বাস্তবে উদ্যোক্তার আড়ালে ‘শিক্ষা ব্যবসায়ী’ হিসেবেই যাঁর অধিক পরিচিতি।

সবাইকে ‘ম্যানেজ’ করার দুর্লভ দক্ষতা যাঁর বিপুল বিত্ত-বৈভব আর টাকা কামানোর নেপথ্যের রহস্য। অনেকে বলেন, সবুর খানের এই ‘জাদুর চেরাগ’ তাঁকে শিখিয়েছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের টাকা করায়ত্ত করে কিভাবে একের পর এক প্রতিষ্ঠান ও কম্পানি খুলে নিজের ও পরিবারের আখের গোছাতে হয়। সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সবার চোখে ধুলা দিয়ে তিনি রীতিমতো দুর্নীতি আর অনিয়মকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, ইউজিসিসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ও নিজস্ব অনুসন্ধান থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

তথ্য-উপাত্ত বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ ট্রাস্টিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুদান দেবেন, কিন্তু বিনিময়ে কখনোই এক টাকাও নিতে পারবেন না। অথচ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব কাজে লাগিয়ে এসব নিয়মের ধার ধারেননি সবুর খান। বরং নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) অর্থ সরানোসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

তিনি ওই ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির (এপিইউবি) চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয় শেখ কবির হোসেন। আর সেই কমিটিরই সদস্য ছিলেন সবুর খান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ কবির পালিয়ে গেলে ভোল পাল্টে ঠিকই তিনি বগলদাবা করেছেন এপিইউবির চেয়ারম্যান পদ। ফলে এখনো তিনি শিক্ষা ও আইসিটি খাতে সমানতালে রাজত্ব করে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত সরকারের এক ডজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিল সবুর খানের দহরম-মহরম। অনেকেই বলতেন, তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়ের আশীর্বাদপুষ্ট। শেখ হাসিনার সঙ্গেও উপস্থিত ছিলেন একাধিক অনুষ্ঠানে। তিনি ছিলেন ওবায়দুল কাদের, আ হ ম মোস্তফা কামাল, আনিসুল হক, শেখ ফজলে নূর তাপসের ঘনিষ্ঠজন। তবে সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। তাঁদের বদৌলতে তিনি শিক্ষা ব্যবসা, টেস্টেড সফটওয়্যার, মেডিক্যাল  সফটওয়্যার, ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট এবং ইআরপি সফটওয়্যারের একচেটিয়া ব্যবসা করেন। তাঁর কম্পানির বিরুদ্ধে পাইরেটেড সফটওয়্যার সরবরাহেরও অভিযোগ রয়েছে। আইসিটি ও শিক্ষা খাতে আইটিসামগ্রী সরবরাহের দরপত্রে অনেকটাই অপ্রতিদ্বন্দ্বী থাকত তাঁর প্রতিষ্ঠান।  অভিযোগ রয়েছে, মালয়েশিয়ায় একাধিক বাড়ি কিনে সেকেন্ড হোম সিটিজেনশিপ নিয়েছেন সবুর খান। তিনি আমেরিকায়ও বাড়ি কিনেছেন এবং সেখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে ২০০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ।
সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে প্রতি সেমিস্টারে গড়ে এক শ কোটি টাকার ওপর অর্থ আদায় হয়ে থাকে বলে ধারণা করেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই অর্থের একটি বড় অংশ সবুর খান বিদেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এই টাকা পাচারকে সহজ করতেই দুবাইয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার উদ্যোগ নিয়েছেন সবুর খান। সম্প্রতি আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় ড্যাফোডিলের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করে ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে অন্য ব্যবসায়ও বিনিয়োগ আছে তাঁর।

জানা যায়, সবুর খানের ব্যবসার সূত্রপাত হয়েছিল ঢাকার ১০১/এ, গ্রিন রোডে। সেখানেই ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শুরু। ১৯৯৮-৯৯ সালে তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কম্পিউটার আমদানি শুরু করেন। এরপর হার্ডওয়্যার থেকে সফটওয়্যার ব্যবসায়ও সবুর খানের কারসাজি সম্প্রসারণ হয়।

জানা যায়, ২০০২ সালে বিএনপি সরকারের আমলে তিনি তৎকালীন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের বদৌলতে যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র সংগ্রহ করেন। কিন্তু ১/১১-এর পটপরিবর্তনের পর বিএনপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন। সে সময় শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বিদেশে চলে যান। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে অবৈধভাবে তুহিনকে বাদ দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বোর্ড পুনর্গঠন করেন। এরপর তা ইউজিসি থেকে অনুমোদন করান। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তাঁর একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, এ জন্য প্রতারণার ইকোসিস্টেম গড়তে সবুর খান প্রতিষ্ঠা করেন ড্যাফোডিল পরিবার নামে প্রতিষ্ঠান। গ্রুপ অব কম্পানির আদলে এই ড্যাফোডিল পরিবারে রয়েছে অঙ্গ অনেক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে—ডিসিএল, ওভাল ফার্নিচার, ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল, সবুজ প্রিন্টার্স, ডিওএল, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লি., স্কিল জবস, গ্রিন গার্ডেন, ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ক্ষেত্রেই উন্মুক্ত দরপত্র আহবান করা হয় না। মূলত কাগজে-কলমে টেন্ডার দাখিলের মাধ্যমে কাজ পায় ড্যাফোডিল পরিবারেরই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য কিংবা সেবা দেখিয়ে মূলত সরানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডে জমা পড়া শিক্ষার্থীদের টাকা।

সূত্র জানায়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় একটি করে ল্যাপটপ। ল্যাপটপ দেওয়ার এই কাজটি মূলত করে সবুর খানেরই আরেক নামসর্বস্ব কম্পানি ডিসিএল তথা ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড। সস্তা চাইনিজ পার্টসকে অ্যাসেম্বল করে বানানো ১০-১৫ হাজার টাকার ল্যাপটপকে ৭০-৮০ হাজার টাকা ধরে অসহায় শিক্ষার্থীদের তা গছিয়ে দিচ্ছেন সবুর খান।  

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ফার্নিচারসহ ইন্টেরিয়রের কাজ করে ওভাল ফার্নিচার। প্রিন্টিং ও প্রেসের সব কাজ করে সবুজ প্রিন্টার্স। ইন্টারনেট সেবার কাজ করে ডিসিএল। বিভিন্ন ইভেন্টে ক্যাটারিংয়ের কাজ করে গ্রিন গার্ডেন। এসবই সবুর খানের নামসর্বস্ব কম্পানি।

সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই মূলত অপ্রদর্শিত অর্থকে সাদা করা হয় এবং বাড়তি খরচ দেখিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা তছরুপ করা হয়। স্কিল জবসের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন নিয়োগ আয়োজনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা ড্যাফোডিল পরিবারের অন্য কম্পানিতে স্থানান্তর করা হয়। অন্যদিকে হলগুলো পরিচালনা করে ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল। এই ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনালের নামে শিক্ষার্থীদের হলের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্য-প্রযুক্তি খাতের কম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ার নিয়ে ব্যাপক কারসাজির অভিযোগ রয়েছে। শেয়ার কারসাজির কারণে তিনজনকে ছয় লাখ টাকা জরিমানাও করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড রয়েছে। এতে তিনি নিজে চেয়ারম্যান, তাঁর স্ত্রী সাহানা খান ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়ে সামিহা খান, বোন রওশন আরা বেগম এবং শ্যালক মো. ইমরান হোসেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। রীতিমতো পারিবারিক এ প্রতিষ্ঠানে সবুর খান যা করছেন তা নিয়ে কথা বলার কেউ নেই।  

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইউজিসির নীতিমালা অনুসারে ল্যাবসংশ্লিষ্ট কোর্সের প্রতি সেকশনে মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর অনুমোদন থাকে। তবে ড্যাফোডিলে প্রতি সেমিস্টারে শুধু সিএসই কোর্সেই ভর্তি করানো হয় হাজারের ওপর শিক্ষার্থী। এই পুরো প্রতারণা ব্যবস্থায় চতুরভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় কম দেখানো ও ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতি সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু তিন ভাগের এক ভাগের হিসাবটাই ইউজিসি বা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় তারা।

সূত্র জানায়, আশুলিয়ায় যে জমিগুলোর ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত তা ছিল একসময় ভাওয়াল রাজার সম্পত্তি। পরে এগুলো বাংলাদেশ সরকারের বন বিভাগের অধীনে চলে আসে। আশুলিয়ার দত্তপাড়ার এলাকার ওই সব সরকারি জমি পরিত্যক্ত ছিল। ২০১৩ সালের পরে সেসব জমি দখল করে একটু একটু করে গড়ে উঠতে থাকে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল ক্যাম্পাস। একাডেমিক ভবন, বিভিন্ন নান্দনিক স্থাপনাসহ কয়েক শ একর জমির ওপর স্থাপিত বিশাল ক্যাম্পাসটির বেশির ভাগ অংশ সরকারি বন বিভাগের জমিতেই গড়ে উঠেছে।

সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করে নিজের এবং স্ত্রী-কন্যার ব্যক্তিগত নামে একটি ওষুধ কম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন সবুর খান। এই তিনজনের নামে ওই কম্পানির ৫৭.৬ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে। যার মোট মূল্য ১৯ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর এই অর্থের পুরোটাই দেওয়া হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাব থেকে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সবুর খানের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা ধরেননি। তবে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ শাখার ঊর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হাবিব কাজলকে ফোন দিলে তিনি ঢাকার বাইরে আছেন বলে জানান। অভিযোগের ব্যাপারে আপাতত কোনো স্টেটমেন্ট দিতে পারবেন না বলে জানান।

তবে কিছুদিন আগে আরেকটি গণমাধ্যমে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, প্রতিহিংসাপরায়ণ একটি স্বার্থান্বেষী মহল দীর্ঘদিন ধরে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকারি বা ব্যক্তিগত জমিজমা দখলসংক্রান্ত নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তবে সবুর খানের অর্থপাচার, বিদেশে বাড়ি-ব্যবসা, বিশ্ববিদ্যালয়কে পারিবারিক করে তোলাসহ অন্যান্য অভিযোগের ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। আনোয়ার হাবিব কাজলের পাঠানো লিখিত বক্তব্যের শেষে বলা হয়, এ বিষয়ে যদি কারো কোনো বক্তব্য থাকে তাহলে সব দলিল ও প্রমাণাদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কছে সংরক্ষিত আছে, আগ্রহীদের সরাসরি এসে দেখার অনুরোধ করেন তিনি।
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।