সিলেট: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত নৃশংসতা চলছে। গাজায় নিহত শিশুদের ছবি আমাদের কোমলপ্রাণ শিশুদেরও হতবাক করেছে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রমাণিত, এটি কোনো আঞ্চলিক বিষয় নয়, এটি একটি বৈশ্বিক বিষয়। যে সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র সম্মিলিত প্রচেষ্টার
মাধ্যমেই সম্ভব। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ফিলিস্তিনিবাসীর পাশে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে ফিলিস্তিনিদের পাশা থাকার অঙ্গিকার করেছে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সমর্থনে আমরা সব সময় অবিচল থেকে ছিলাম। ইয়াসির আরাফাত ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে এই বিষয়ে আমরা অঙ্গিকার বন্ধ। এই বিষয়ে জেরুজালেম মুক্ত করার জন্য ইসলামি সংস্থার ৩ সদস্যের যে কমিটি হয়েছিল সেই কমিটিতে অন্যতম ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সিলেট মহানগর বিএনপি নগরীতে র্যালি বের করে। র্যালিটি কোট পয়েন্ট থেকে শুরু করে আম্বরখানা পয়েন্টে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, আজ গাজায় পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ শিশু আর বিধবার সংখ্যা পরিমাপযোগ্য নয়। প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যা। মাথা গোঁজার আশ্রয় তো দূরের কথা, একবেলা খাবার, চিকিৎসা কিংবা তৃষ্ণা নিবারণের সামান্য পানিও আজ তাদের কাছে দুষ্প্রাপ্য। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ইতিহাসের জঘন্যতম এই গণহত্যার ঘটনায় বিশ্ব বিবেক নিরব, বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করুন। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার অবসান হোক। প্রতিষ্ঠিত হোক ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমির অধিকার।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের সাবেক প্রথম প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, বিশ্ব বিবেককে স্তম্ভিত করে ফিলিস্তিনের রাফা ও গাজায় চলছে ইতিহাসের বর্বরতম নৃশংস হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। আজ বিশ্ববাসীর উচিত সম্মিলিত প্রতিবাদের মাধ্যমে এই নৃশংস পৈশাচিক ধ্বংসযজ্ঞের অবসান ঘটানো। একমাত্র ঐক্যবদ্ধ মানবিক কণ্ঠস্বরে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদই পারে রাফা ও গাজার অসহায় মানুষের প্রতি সংঘটিত এই বর্বরতার অবসান ঘটাতে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
আরও বক্তব্য দেন- মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, মাহবুব কাদির শাহী, সাদিকুর রহমান সাদিক, ডা. আশরাফ আলী, নুরুল মুমিন খোকন, আব্দুল হাকিম, আফজাল হোসেন, ব্যারিস্টার রিয়াশাদ আজিম হক আদনান, রহিম মল্লিক, মুফতি নেহাল, জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ জামাল নুরুল হুদা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মূর্শেদ আহমদ মুকুল, শামীম মজুমদার, মির্জা বেলায়েত হাসান লিটন, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, রেজাউল করিম আলো, আক্তার রশিদ চৌধুরী, মন্জুরুল হাসান মন্জু, নাদির খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, জাকির হোসেন মজুমদার, রফিকুল ইসলাম রফিক, দেওয়ান জাকির, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, মহানগর যুবদলের সভাপতি নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল ও সদস্য সচিব শাকিল মূর্শেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী ও সদস্য সচিব আফসর খান, ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যুতি এষ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, জাসাসের আহ্বায়ক তাজউদ্দিন মাসুম, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জীবন, কোতোয়ালি থানার আহ্বায়ক ওলিউর রহমান চৌধুরী সুহেল, বিমানবন্দর থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদির সমসু ও সদস্য সচিব সৈয়দ সরোয়ার রেজা, শাহপরান থানার আহ্বায়ক মো. আব্দুল মুনিম ও সদস্য সচিব খুর্শেদ আহমদ খুশু, মোগলাবাজার থানার আহ্বায়ক আব্দুল হাসনাত ও সদস্য সচিব জামাল আহমদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
এনইউ/আরবি
