ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ সমন্বয়ক তারেকের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
খুলনায় পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ সমন্বয়ক তারেকের

খুলনায় সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের বীভৎস ছবি দেখালেন এক কলেজছাত্র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার মা ও বোন।

মায়ের চোখ বেয়ে পড়ছিল পানি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এখনও এমন নির্যাতন হতে পারে ভাবতে গিয়েই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

খুলনা সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের ছাত্র ও জুলাই আন্দোলনের  সম্মুখযোদ্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহাম্মদ তারেক রহমান। ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়। পরে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে তাকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা হয় মিথ্যা মামলা। আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পেয়ে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন তারেক।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কমার্স কলেজের এই ছাত্র বলেন, গত ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর নগরীর সদর থানাধীন ৫ নং ঘাট এলাকায় কিছু শ্রমিক ডিবি পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। সেখানে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ পুলিশের ওপর হামলাও হয়।

তবে এসব ঘটনায় জড়িত না থাকলেও রাতে তারেকের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে ও তার ভাগ্নেকে নির্যাতন করে হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়। এমনকি তাকে প্রধান আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন বলে জানান তারেক।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। এমনকি যেভাবে হামলা ও মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, তাতে প্রকৃত ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন।

তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি কোথায় ছিলেন সেটি তার মোবাইল ট্র্যাকিং করলেই পাওয়া যাবে। কিন্তু সেটি না করে কোনো প্রকার বিচার বিশ্লেষণ না করে তার ওপর যেভাবে নির্যাতন চালানো হলো, তা রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

যদিও এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও কেএমপির খুলনা থানায় দায়েরকৃত ৪ এপ্রিলের ৫ নম্বর মামলার বাদী মো. এবাদ আলী বলেন, ঘটনার সময় মোহাম্মদ তারেক রহমান ও অন্যান্যরা ছিলেন। সেখানে তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। যাদের খুলনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার জানান, তিনি নিজে সাদা পোশাকে গিয়ে ঘটনা তদন্ত করেছেন। সেখানে তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছেন।

যদিও কেএমপি কমিশনার ঘটনার দিন তারেক রহমানের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে বলেছেন, ‘তারেক দোষী না, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে’। কিন্তু তাঁর প্রতিশ্রুতির মধ্যেই থানায় মামলা দেওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তারেক। এ জন্য ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।