ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২৭, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

ফরিদপুর: ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর চিফ প্রটোকল অফিসার পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার দুই প্রতারক হলেন চন্দ্র শেখর মিত্র (৫৪) ও লিয়াকত হোসেন (৫১)।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান ওই দুই প্রতারককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তাদের একজনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছটি থানার কুলকাঠি এলাকায় ও অপরজনের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার কুমারিয়াজোলা এলাকায়। তারা দুজনেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি দফতরের অফিসারকে ফোন দিয়ে ও প্রভাবিত করে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, তাদের দুজনকে পৃথক স্থান থেকে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) পৃথক সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার শাহজাহান বলেন, ফরিদপুর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ড্রাইভার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নৈশপ্রহরী নিয়োগের জন্য গত ০৪/১২/২০২২ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন জেলার আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ট্রাস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানও দরপত্র জমা দেয়।  

পুলিশ সুপার আরও বলেন, পরবর্তীতে চন্দ্র শেখর মিত্র নামের এক প্রতারক নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর চিফ প্রটোকল অফিসার পরিচয় দিয়ে গত ০৭-০১-২০২৩ তারিখে একাধিকবার ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মোস্তফা ফারুকের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করে সেই ট্রাস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডকে এ আউটসোর্সিং-এর কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং কৌশলে নানা ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।

এক পর্যায়ে আসামি চন্দ্র শেখর মিত্র ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে এসে নিজেকে আবারও প্রধানমন্ত্রীর চিফ প্রটোকল অফিসার পরিচয় দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের কাজটি ট্রাস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডকে দেওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চন্দ্র শেখর মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে এ প্রতারণার কথা। তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে সারাদেশে এভাবে প্রতারণা করে আসছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শেখ মো. আবদুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম, ডিবির ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।