ঢাকা, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

গোবিন্দগঞ্জে গণধর্ষণ: ২ জনের দোষ স্বীকার, ২ জন রিমান্ডে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৪৫, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
গোবিন্দগঞ্জে গণধর্ষণ: ২ জনের দোষ স্বীকার, ২ জন রিমান্ডে

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার চারজনের মধ্যে দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দু’জনের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত গভীররাত পর্যন্ত শুনানি শেষে গোবিন্দগঞ্জ (চৌকি) আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ আদেশ দেন।

ওসি মেহেদী হাসান জানান, গ্রেফতারকৃত চার আসামির মধ্যে জাহাঙ্গীর (৩৫) ও শাহাদত (২০) স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাওয়ায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এছাড়া জাহিদ (২৭) ও জহুরুলের (২৬) দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া (নয়াপাড়া) গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে এবং শাহাদৎ পৌর এলাকার চাষকপাড়ার আনারুল হকের ছেলে। এছাড়া জাহিদ শহরের থানাপাড়ার (কসাইপাড়া) মৃত ইউনুস আলীর ছেলে এবং জহুরুল ফুলবাড়ী নাচাই কোচাই গ্রামের আব্দুর রহমান সরকারের ছেলে।

তিনি আরও জানান, শাহাদতের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ফরিদপুর জেলার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওই তরুণীকে গোবিন্দগঞ্জে ডেকে আনেন শাহাদত। পরে ওই তরুণীকে শহরের শিববাড়ী এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে দু’দিন ধরে শাহাদত ও তার তিন বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করেন।

দু’দিন পর শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই তরুণী বাড়ি কৌশলে পালিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এসে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের একাধিক দল পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে তাতে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।