ঢাকা, বুধবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হত্যাচেষ্টা মামলায় যুবকের ১১ বছর কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
হত্যাচেষ্টা মামলায় যুবকের ১১ বছর কারাদণ্ড দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলম

চুয়াডাঙ্গায় হত্যাচেষ্টা মামলায় শাহ আলম (২৭) নামে এক যুবককে ১১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলম চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া চকপাড়ার মৃত রহিমের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলমের আলুকদিয়া চকপাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে সাইকেল মেরামতের একটি দোকান রয়েছে। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার লালনের ছেলে আমির হোসেন তার দোকানের সামনে রাখা সাইকেল একটু সরিয়ে নিতে বলেন। এ নিয়ে শাহ আলমসহ কয়েকজনের (অভিযুক্তরা) সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওইদিন রাত ৮টার দিকে ১ নম্বর বাদী একই এলাকার হায়দার আলীর ছেলে মাফিজুর রহমান (১৭) ও ২ নম্বর বাদী লালন শেখের ছেলে আমির হোসেন আলুকদিয়া চকপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই এলাকার কিতাব মণ্ডলের ছেলে সাইজুলের দোকানের সামনে এলে আসামিরা মাফিজুর রহমান ও তার বন্ধু আমির হোসেনকে গতিরোধ করেন। এ সময় শাহ আলম ছুনিকাঘাত করে মাফিজুরকে হত্যার চেষ্টা করেন। ওই সময় মাফিজুরের সঙ্গে থাকা বন্ধু আমির হোসেন তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও খুন করার উদ্দেশে পেটের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে জখম করেন শাহ আলম। সে সময় তারা দুজন চিৎকার দিলে আশপাশে লোকজন এগিয়ে এসে জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন।  

এ ঘটনার পরদিন মাফিজুরের বাবা হায়দার আলী ও আমিরের বাবা লালন শেখ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলমকে ১ নম্বর আসামি, তার মা রেনুকে ২ নম্বর আসামি ও তার ভাই জুয়েলকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়।  

মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে শাহ আলম দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে ওই রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে পেনাল কোডের ১৮০ -এর ৩২৬ ধারায় পাঁচবছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০৭ ধারায় পাঁচ বছর ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ৩২৪ ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, দোষী সাব্যস্তকৃত অভিযুক্তের প্রদত্ত সব দণ্ড একত্রে চলবে।

১৮৯৮ -এর ৩৫ এ ধারার বিধান অনুযায়ী অত্র মামলায় দণ্ডিত আসামি এই দণ্ডের পূর্ববর্তী সময়ে যে মেয়াদকাল হাজতবাস করেছেন, তা উপরোক্ত কারাদণ্ড থেকে বিয়োজন হবে। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পরিশোধের সমুদয় অর্থ ১৮৯৮ এর ৫৪৫ (১) ধারা অনুযায়ী মামলা পরিচালনার খরচ ও ভিকটিমদের চিকিৎসা বাবদ পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।