সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, নির্বাচন আসন্ন। এখন কীভাবে এ নির্বাচন প্রতিহত করা যায়—কিছু আছে বিদেশি শক্তি, যারা আন্দোলন করছে, কিছু ছাত্ররাও নির্বাচন চায় না।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির হলরুমে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটরে সভাপতি ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়নুল আবেদীন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিএনপির আইন সম্পাদক ও ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। কারণ নির্বাচন এদেশের মানুষের প্রাণের দাবি।
সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, গত এক বছর ধরে ছদ্মবেশের রাজনীতি চলছে, ছাত্র আন্দোলনে। পরে দেখা যাচ্ছে কেউ শিবির করতো, কেউ ছাত্রলীগ করতো। এ ছদ্মবেশের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। যারা মনে প্রাণে রক্তে নেশায় ফোরামের তারাই শুধু ফরম পূরণ করবে। ১৫ বছর যারা স্বৈরাচারের দোসর ছিল বা বিএনপির সমর্থন করতো সেফগার্ড নিয়ে তাদের ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। আবার জঙ্গি দল আছে কিছু। তাদের ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আসন্ন। এখন কীভাবে এ নির্বাচন প্রতিহত করা যায়—কিছু আছে বিদেশি শক্তি, যারা আন্দোলন করছে, কিছু ছাত্ররাও নির্বাচন চায় না। কী কারণে চায় না বুঝি না। বাংলাদেশ তো গণতান্ত্রিক দেশ। ৬৫ হাজার আইনজীবী সাধারণ মানুষ নয়। ন্যাচারাল লিডার। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আমার একটা অনুরোধ থাকবে সদস্য সংগ্রহ চলাকালে। অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন যেন কোনো অনুপ্রবেশকারী ছদ্মবেশে আপনাদের বা আমাদের সদস্য ফরম পূরণ না করে। বাংলাদেশে সম্প্রতি একটি ধারা চালু হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য নিজেকে আড়াল করে অন্য একটা রাজনৈতিক সংগঠনে গিয়ে স্যাবোটাজ করে।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর দোহাই লাগে একজনও যেন অনুপ্রবেশকারী না ঢুকতে পারে। যাচাই করবেন। কারণ আমাদের চারপাশে অনুপ্রবেশকারী আছে। এটাতো কমবেশি বোঝা যাচ্ছে। আমরা যারা সত্যিকারে আইনজীবী ফোরাম করি, তারাই যেন ফরম পূরণ করি। বর্ণচোরা কেউ এলে অপমাণিত হতে হবে।
ইএস/এমজেএফ