ঢাকা, শনিবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২৮ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

নেপাল ভূমিকম্প

চার মাসের শিশুর পর ১৫ বছর বয়সী বালক উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৯, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
চার মাসের শিশুর পর ১৫ বছর বয়সী বালক উদ্ধার ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠা হিমালয়কন্যা নেপালে সময় যত গড়াচ্ছে, ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়া মানুষগুলোকে জীবিত উদ্ধারের আশা ততোই কমে আসছে। এরই মধ্যে চার মাস বয়সী এক শিশুকে উদ্ধারের পর জীবিত উদ্ধার করা হল ১৫ বছর বয়সী এক বালককেও।



দুর্ঘটনার পাঁচদিন পর বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর এক ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে ওই বালককে উদ্ধার করা হয় বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তবে উদ্ধার পাওয়া বালকের নাম-পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

এর আগে রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভক্তপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া এক চার মাস বয়সী শিশুকে দুর্যোগের ২২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা। সনিত আওয়াল নামের ওই শিশুর কান্নার শব্দ উদ্ধারকর্মীদের কানে গেলে তারা সেখানে তৎপরতা শুরু করে। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে বলে জানা

এদিকে, ভূমিকম্পের ৮২ ঘণ্টা পর ঋষি খানাল নামে এক ২৭ বছর বয়সী যুবককেও জীবিত উদ্ধার করা হয়। কাঠমান্ডুতে এক হোটেলে দুপুরের খাওয়ার কিছুপরই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তারপর থেকেই ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকা পড়ে ছিল ঋষি। আটকা পড়ার পর ক্রমাগত পাথর ঠুকে সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে সে। ফরাসি সেনাসদস্যদের কেউ একজন সে শব্দ শুনতে পেলে তাকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়।

গত ২৫ এপ্রিল নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতে একযোগে আঘাত হানে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯। এরপর গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন মাত্রার অন্তত ৬০টি কম্পন অনুভূত হয় বলে স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় সংবাদমাধ্যম।

এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নেপালে নিহতের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেপাল প্রধানমন্ত্রী সুশিল কৈরালা।



ভূমিকম্পের ফলে দেশটিতে ৭০ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে দুই লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

নেপালে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এ দুর্যোগে দশ হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়া ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত আশি লাখ মানুষ। এছাড়া দশ লাখ শিশুর ওপরও ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এর আগে, ১৯৩৪ সালে ভয়াবহ এক ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে নিহত হয় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া, ১৯৮৮ সালে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পেও প্রকম্পিত হয় হিমালয়কন্যা। সেবার সাতশ’ ২২ জন নিহত হয় দেশটিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫/ আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা
আরএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।