কলম্বিয়ায় একদিনে দুটি পৃথক হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই হামলার পেছনে রয়েছে সাবেক বিদ্রোহী সংগঠন ফার্কের ভিন্নমতাবলম্বী অংশ।
বৃহস্পতিবার দেশটির তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর কালিতে একটি সামরিক বিমান চলাচল স্কুলের কাছে বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়। ঘটনায় ছয় জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হন বলে মেয়রের কার্যালয় জানান।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে, অ্যান্টিওকিয়া বিভাগের আমালফি এলাকায় কোকা পাতার চাষ ধ্বংসের অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার ড্রোন হামলায় ভূপাতিত হয়। এতে ১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এই হামলার জন্য সাবেক ফার্ক গোষ্ঠীর ভিন্নমতাবলম্বী অংশকে দায়ী করেছেন। এই গোষ্ঠী ২০১৬ সালের শান্তিচুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।
ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল দীর্ঘস্থায়ী অভ্যন্তরীণ সংঘাতের অবসান ঘটানো। এই সংঘাতে দেশটিতে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
পেট্রো এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, অ্যান্টিওকিয়ার উত্তরের একটি এলাকায় কোকা পাতা ধ্বংসের জন্য কর্মী পরিবহনের সময় পুলিশ হেলিকপ্টারের ওপর হামলা চালানো হয়।
অ্যান্টিওকিয়ার গভর্নর আন্দ্রেস জুলিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, হেলিকপ্টারটি কোকা পাতার খেতের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় একটি ড্রোন হামলা চালায়।
কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী হামলায় পুলিশ হেলিকপ্টারে আগুন ধরে যায়।
পেট্রো প্রথমে দেশের সবচেয়ে বড় সক্রিয় মাদক কার্টেল গালফ ক্ল্যানকে হেলিকপ্টার হামলার জন্য দায়ী করা হয়। তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি ওই গোষ্ঠীর কোকেইন জব্দের প্রতিশোধ নিতেই হেলিকপ্টারে হামলা হয়েছিল।
এদিকে ফরেনসিক সদস্যরা বৃহস্পতিবার কলম্বিয়ার কালি শহরে ওই গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের স্থান পরিদর্শন করেন।
আরএইচ