ঢাকা, বুধবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৪ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

জিনেট কর্তাদের ধরতে কেরালা যাচ্ছে ত্রিপুরা পুলিশ

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৯, নভেম্বর ৫, ২০১৩

আগরতলা (ত্রিপুরা): কেরালা যাচ্ছে ত্রিপুরা পুলিশের এক দল। উদ্দেশ্য বিতর্কিত উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান জিনেট কর্তাদের গ্রেপ্তার।

কিছুদিন আগে জিনেট সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ত্রিপুরা সরকার। আমতলী থানাতে এই সংস্থার কর্ণধার কে বালাচন্দ্রন নায়ার, সেক্রেটারি টি কে হরিকুমার এবং কোষাধ্যক্ষ জি এসেশ্বরির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

২০০৪ সালে কেরালার জিনেট সংস্থা ত্রিপুরাতে একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলে। প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপে গড়ে তোলা হয় এই মেডিক্যাল কলেজ। নাম দেওয়া হয় ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ।

মেডিক্যাল কলেজ গড়ার জন্য সংস্থাটিকে ত্রিপুরা সরকার জমি এবং একটি হাসপাতালও লিজ দেয় সংস্থাটিকে। কিন্তু ২০০৮ সালে সংস্থাটি পাততাড়ি গুটিয়ে রাজ্য থেকে চম্পট দেওয়ায় মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ‘২০০৮-০৯’ শিক্ষা বর্ষে ছাত্র ভর্তি‘র অনুমতি দেয়নি এই কলেজকে।

অবশেষে দীর্ঘ ৫ বছর পর রাজ্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪২০, ৪০৬, ৪০৯, এবং ১২০(বি) ধারায় মামলা করা হয় সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

জিনেট সংস্থা পালিয়ে যাওয়ায়, পরবর্তীতে এই মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের দায়িত্ব নেয় সরকার। কারণ সে সময়ে কলেজে পড়াশুনা করছিলো প্রায় ২শ’ মেডিক্যাল শিক্ষার্থী।

তাছাড়া চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ৯শ’ জন ছিলেন ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের সাথে যুক্ত। সবার দায়িত্ব এসে পরে রাজ্য সরকারের উপর। দেনাও ছিলো প্রচু্র।

জিনেট সংস্থা পালিয়ে যাওয়ায় তাই এক অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে পরে মেডিক্যাল কলেজটি। অবশেষে দীর্ঘ ৫ বছর পর রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে চললো সেই সংস্থার বিরুদ্ধে।

এই মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে বহু রাজনৈতিক চাপান উতর হয়েছে রাজ্যে। পার্লামেন্টে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আঙ্গুল তুলেছে এই মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে। দেরিতে হলেও এবার আইনি পথেই হাঁটলো রাজ্য সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৩
তন্ময়/আরআই/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।