এবার পশ্চিমা ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এক হচ্ছে ইরান-রাশিয়া- চীন। তুলে নেওয়া নিষেধাজ্ঞা আবারও আরোপ করার যে হুমকি পশ্চিমা শিবির দিয়ে থাকে, তা ভণ্ডুল করে দিতে চায় এই তিন দেশের জোট।
গেল ২২ জুলাই তেহরানে বৈঠকে বসেছিল ইরান, রাশিয়া ও চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেই বৈঠককে পশ্চিমাদের অকারণ মোড়লগিরির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই দেখছে ইরান। দেশটি বলেছে, কঠিন নিষেধাজ্ঞা শুধু ইরান নয় বরং পুরো গ্লোবাল সাউথে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতি করে চলেছে। তাই তিনটি দেশই আগামী কিছুদিনের মধ্যে বিদেশি খবরদারি একসঙ্গে ঠেকাতে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া জোরদার করবে।
সূত্র বলছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন-ইসরায়েলি হামলার পর এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে তারা কথা বলেছেন। দেশটির ওপর পশ্চিমাদের চাপানো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চেষ্টা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তিন দেশই এখন বড় পরিসরে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমারা কৌশলে যে জবরদস্তি চালাতে চায়, তা মোকাবেলায়ও এই জোট এখন পুরো সতর্ক।
তুলে নেওয়া নিষেধাজ্ঞা আবার চাপানোর পশ্চিমা রাজনীতিকে অবৈধ এবং রাজনৈতিক চাল দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘরিবাবাদী। তিনি বলেন, সেইসবের কোনো আইনি বা নৈতিক যৌক্তিকতা নেই। ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের একতরফা প্রত্যাহার করেছিল, সেই ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেন কাজেম। সেই সময় চুক্তি টেকাতে ব্যর্থ হয় পশ্চিমা দেশগুলো। তাই আজ তারা এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার হারিয়েছে বলে উল্লেখ করেন কাজেম ।
ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আসন্ন আলোচনার আগেই রাশিয়া আর চীনের সঙ্গে বসবে ইরান। পুরনো নিষেধাজ্ঞা নতুন করে চাপানো সিদ্ধান্ত ইরান যে আর মানবে না- তা ওই আলোচনায় জানিয়ে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পশ্চিমাদের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির ভবিষ্যত নিয়েও মীমাংসা হবে সে বৈঠকে । ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে- পশ্চিমারা যদি দেশটির সঙ্গে আসলেই কোনো টেকসই সমাধানে যেতে চায়, তাহলে নিষেধাজ্ঞাগুলো পুরোপুরি এবং শর্ত ছাড়াই তুলে নিতে হবে। নয়তো লক্ষ্য অর্জনে ইরানকে ঠেকাতে পারবে না কেউ।
এমএম