গত ৭২ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে চরম অপুষ্টি ও অনাহারে অন্তত ২১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল। খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতির মধ্যেই এই মৃত্যু হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই মৃত্যুগুলো গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নথিভুক্ত হয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতাল, দেইর আল-বালাহ’র আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল এবং খান ইউনুসের নাসের হাসপাতাল।
তিনি জানান, এই মৃত্যুর কারণ ছিল চরম অপুষ্টি ও অনাহারজনিত জটিলতা, যা চলমান খাদ্য ও ওষুধের সংকটের কারণে ঘটেছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানায়, জিএইচএফ ( গাজা হিমেটেরিয়ান ফাউন্ডেশন) কার্যক্রম শুরুর পর থেকে খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১০০০’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৬৬ জন ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে, আর ২৮৮ জন জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার ত্রাণ কাফেলার পাশে নিহত হন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক সতর্ক করে বলেন, দেইর আল-বালাহতে ইসরায়েলি অভিযানের ফলে বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি বাড়ছে এবং অবৈধ হত্যাকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
ইইউ কূটনীতিক কায়া কাল্লাস গাজায় ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষদের হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সব ধরনের পদক্ষেপ বিবেচনায় রাখা হবে” যদি ইসরায়েল মানবিক প্রবেশাধিকারের প্রতিশ্রুতি না রাখে।
এমএম