১৩ জুলাই ইরানের পার্লামেন্টে পাস একটি নতুন আইন হয়েছে, যার নাম “গুপ্তচরবৃত্তি ও শত্রু রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার শাস্তি কঠোরকরণ আইন”।
আইনটিতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ শত্রু রাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা বা সহযোগিতামূলক সম্পর্কের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির বিধান রাখা হয়েছে।
কেবল গুপ্তচরবৃত্তি নয়—প্রযুক্তি, অর্থনীতি, ড্রোন, সাইবার সহযোগিতা, কিংবা বিদেশি গণমাধ্যমে ভিডিও পাঠালেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। স্টারলিংক ব্যবহারের মতো প্রযুক্তিও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
আইনটিতে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া সরকার যেকোনো সময় যেকোনো বিদেশি সত্তাকে ‘শত্রু’ ঘোষণা বা সেই মর্যাদা প্রত্যাহার করতে পারবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এটিকে “জাতীয় নিরাপত্তার ঢাল” বললেও, বিশ্লেষকদের মতে, আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ঢাকতে, ভিন্নমত দমন করতে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবল বাড়াতে কঠোর দমননীতি চালু করা।
এর আগে শত্রু রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট সংজ্ঞা না থাকায় বিলটি সংসদে ফেরত পাঠিয়েছিল ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল।
সংশোধিত মূল প্রস্তাবের আরেকটি অনুচ্ছেদে জনসাধারণের মধ্যে বিভাজন বা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে শত্রু বা বিদেশি নেটওয়ার্কগুলোতে যারা তথ্য বা ভিডিও পাঠায় তাদের শাস্তি নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এই কর্মকাণ্ডগুলো এখন থেকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। একইসাথে এর জন্য কারাদণ্ড এবং সরকারি ও জনসেবা থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার শাস্তি নির্ধারন করা হয়েছে।
চূড়ান্ত প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোন সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। আর সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যাবে।
সূত্র: তাসনিম নিউজ
এমএম