আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানে নারীদের ও কিশোরীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে তালেবান সরকারের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
হেগ-ভিত্তিক এই আদালত এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের কাছে ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে বিশ্বাস করার যে তালেবান সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানি ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নারী সমাজের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছেন।
আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, তালেবান নেতৃত্ব ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দেয়, নারীদের বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থান থেকে নিষিদ্ধ করে, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে এবং এমনকি প্রকাশ্যে নারীদের উচ্চস্বরে কথা বলাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যদিও তালেবান গোটা জনগণের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তারা নারীদের ও মেয়েদের তাদের লিঙ্গের ভিত্তিতে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে।
আদালত জানায়, এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট, তালেবান দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে এবং অন্তত ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
তবে তালেবান কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রতিক্রিয়ায় জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে সংঘটিত ‘অসংখ্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ বিষয়ে নীরব থেকেছে, যা আদালতের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ প্রমাণ করে।
তালেবান সরকার বলছে, তারা আফগান সংস্কৃতি ও ইসলামি আইনের তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।
সূত্র: আল জাজিরা
এমএম