ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ভিয়েতনামের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, দাবি ট্রাম্পের  

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:২৭, জুলাই ৩, ২০২৫
ভিয়েতনামের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, দাবি ট্রাম্পের  

৯ জুলাই নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে সন্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

 

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লেখেন, আমি এখনই ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করেছি।

পরবর্তী এক পোস্টে বিস্তারিত জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন থেকে ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২০% শুল্ক আরোপ করবে এবং ট্রান্সশিপিংয়ের ক্ষেত্রে ৪০% শুল্ক ধার্য করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এক্স-এ এক পোস্টে ব্যাখ্যা করে বলেন, ট্রান্সশিপিং অর্থ হলো যদি অন্য কোনো দেশ তাদের উৎপাদিত পণ্য ভিয়েতনামের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, তাহলে সেই পণ্যের ওপর ৪০% শুল্ক আরোপ করা হবে।

২০% শুল্ক হারটি ভিয়েতনাম এবং অন্যান্য দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে চালু থাকা সর্বনিম্ন শুল্কের দ্বিগুণ।

ট্রাম্প জানান, ভিয়েতনাম এমন একটি পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়েছে, যা তারা আগে কখনো করেনি। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের বাণিজ্য বাজারে পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেবে। অর্থাৎ তারা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাদের বাজার খুলে দেবে, যার মানে আমরা আমাদের পণ্য ভিয়েতনামে শূন্য শুল্কে রপ্তানি করতে পারবো।

তবে চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে কিনা, কিংবা ভিয়েতনাম ট্রাম্পের ঘোষণার সব কিছুতে সম্মত হয়েছে কিনা, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ভিয়েনাম নিউজ জানায়, দেশটির সাধারণ সম্পাদক তো লাম ও ট্রাম্প বুধবার ফোনে কথা বলেন এবং চুক্তির কাঠামোগত বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার চেষ্টা করেন।  

ফোনালাপে, লাম প্রস্তাব দেন যে যুক্তরাষ্ট্র যেন শিগগিরই ভিয়েতনামকে একটি বাজার অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং নির্দিষ্ট কিছু উচ্চপ্রযুক্তি পণ্যের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

উল্লেখ্য, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে যত দেশ থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে  ভিয়েতনাম ছিল তাদের মধ্যে ষষ্ঠ বৃহত্তম উৎস। ইউএস কমার্স ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে ১৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পাঠিয়েছে, যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

একই সময়ে, ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতিও বাড়েছে। গত বছর এ ঘাটতি দাঁড়ায় ১২৩ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো দেশের সঙ্গে তৃতীয় সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি। ২০১৯ সালে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা সে সময় পঞ্চম সর্বোচ্চ ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত শীর্ষ পণ্যের মধ্যে রয়েছে: কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিকস, পোশাক ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী এবং আসবাবপত্র। যদিও এসব পণ্যের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী এখনো চীন, তবে ভিয়েতনাম দ্রুত সেই জায়গায় পৌঁছানোর পথে রেয়েছে।

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।