ইউক্রেনে শান্তিরক্ষায় ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তার কথা আবারও তুলে ধরলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ইউক্রেনের শান্তিরক্ষার কাজে ইউরোপীয় সেনাদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
ম্যাক্রো বলেন, আমাদের একটি শক্তিশালী ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী প্রয়োজন এবং তাদের পাশে মাটিতে থেকে সহায়তা দিতে হবে। শান্তিরক্ষী বাহিনী গড়ে তুলতে ইউক্রেনের মিত্রদের এগিয়ে আসা এখন জরুরি।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য নতুন নয়। এর আগেও তিনি একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন; তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যদি আলোচনায় সাড়া না দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফার নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপে প্রস্তুত আছেন। রাশিয়ার জ্বালানি কেনার কারণে ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন বলেও মনে করিয়ে দেন ম্যাক্রো।
রাশিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত নই, রাশিয়া আদৌ শান্তি চায় কিনা। একইসঙ্গে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শান্তিচুক্তির জন্য সপ্তাহ কিংবা মাস অপেক্ষা করার সুযোগ নেই।
অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রশ্নে প্রত্যেকটি দেশের অংশগ্রহণ থাকা জরুরি। তার ভাষায়, নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় কারা যুক্ত হবে এ প্রশ্নে বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট, সমগ্র ইউরোপকে অংশ নিতে হবে।
রাশিয়ার দাবি প্রসঙ্গে মের্জ বলেন, কিয়েভ যেন ডনবাসের অবশিষ্ট মুক্ত অংশগুলো ছেড়ে দেয়। এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রকে ফ্লোরিডা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলার সমান।
এমজে