ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার একদিন পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে। ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আমেরিকানরা তাদের আগ্রাসনের জবাব পাবে। এখন পর্যন্ত সংঘাতে ইরানে চারশোর বেশি নিহত এবং তিন হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৪ জন মারা গেছেন।
এই সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশপথে ফ্লাইত চলাচল ব্যাপক বিঘ্ন ঘটেছে। ইরান, ইরাক, জর্দানসহ কয়েকটি দেশের আকাশসীমা বন্ধ রয়েছে। ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন বন্ধ এবং তাদের জাতীয় বিমান সংস্থা এল আল সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। খবর আল জাজিরার।
অন্যান্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন যেমন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, আমেরিকান এয়ারলাইন্স ও লুফথানসাও নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক ফ্লাইট বাতিল বা শিডিউল পাল্টেছে
বিশ্বের বিমান নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, চলমান হামলা ও উত্তেজনার কারণে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের আকাশপথ ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ পথ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও বেড়েছে।
গালফ এয়ারলাইন্সগুলো দ্রুত নতুন রুট ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা দিয়ে চলেছে। সৌদি আরবের আকাশপথ এখন এই অঞ্চলের মূল রুট হিসেবে কাজ করছে। এর ফলে ফ্লাইটের সময় ও খরচ বেড়েছে, তবে যাত্রীদের বড় ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না।
আরএইচ