ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে পশ্চিম তীরের কয়েকজন উগ্র ইসরায়েলি অবৈধ বসতি স্থাপনকারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও আউটপোস্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে ফিলিস্তিনি ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় আইনজীবী দপ্তর কর্তৃক অভিযুক্ত জোহার সাবাহ। মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতি নেরিয়ার ফার্ম ও কোকো’স ফার্ম এর বাসিন্দারা। উগ্র 'বসতি সম্প্রসারণবাদী' সংগঠন নাচালা। লিবি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং এর প্রশাসক হারেল লিবি। কট্টর বসতি স্থাপন কার্যক্রমের নেত্রী ও প্রচারক দানিয়েলা ওয়েইস।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, আর্থিক লেনদেন বন্ধ এবং পরিচালক হিসেবে কাজ করার অযোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সংসদে এক বিবৃতিতে বলেন, আমি নিজ চোখে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার পরিণতি দেখেছি— ভুক্তভোগীদের আতঙ্ক এবং হামলাকারীদের দায়মুক্তি। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভবিষ্যৎকেই প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করছে, কারণ বর্তমান নেতানিয়াহু সরকার পশ্চিম তীর ও গাজায় যে নীতিমালা গ্রহণ করছে, তা অত্যন্ত আপত্তিকর।
পররাষ্ট্র সচিব গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন স্থল অভিযান, মানবিক সহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞা, এবং গাজার মানুষকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী হ্যামিশ ফ্যালকনার লন্ডনে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত টিপি হতোভেলিকে তলব করেছেন। তিনি গাজায় চলমান সামরিক অভিযানকে সম্পূর্ণভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে অভিহিত করে বলেন, গাজায় ১১ সপ্তাহ ধরে মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা নিষ্ঠুর ও অগ্রহণযোগ্য।
এই পদক্ষেপ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা-এর একটি যৌথ অবস্থানের অংশ, যারা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে গাজায় সামরিক অভিযান ও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের বিরোধিতা করেছে। তারা ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে, এসব নীতি অব্যাহত থাকলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
সূত্র: গভ.ইউকে
এমএম