ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
হামলায় আহত হয়েছেন কয়েক ডজন লোক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গাজার ওই হাসপাতালের ভেতরে এবং আশপাশের এলাকায় একসঙ্গে ছয়টি বোমা ফেলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা হাসপাতালের নিচে থাকা হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, সেখানে হামাসের যোদ্ধার অবস্থান করছিলেন।
ইসরায়েলের ওই বিমান হামলায় আহতদের মধ্যে বিবিসির হয়ে কাজ করা গাজার এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকও ছিলেন। তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
গাজার ইউরোপীয় ওই হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার ফলে হাসপাতাল চত্বরে একাধিক গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে একটি বড় বাসসহ কয়েকটি যানবাহন হামলার শিকার হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার পর ইসরায়েলি ড্রোনগুলো হাসপাতাল ভবনের ওপর কঠোরভাবে নজরদারি চালাতে থাকে, ফলে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা আইডিয়ালসের হয়ে কাজ করা প্লাস্টিক সার্জন টম পোটোকার হামলার সময় হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন।
বিবিসির নিউজআওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, হঠাৎ করেই একের পর এক ছয়টি বিশাল বিস্ফোরণ হয়, সরাসরি হাসপাতালে আঘাত হানে। কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই হামলা হয়। চারপাশে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হতাহতদের খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এর আগে নাসের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আরেকটি হামলা হয়। তারা জানান, সেখানে নিহত দুজনের মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও ইসরায়েলি সিকিউরিটিজ অথরিটি (আইএসএ) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, হামাস গাজায় হাসপাতালগুলোকে তাদের কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ারকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। তিনি গাজার সাবেক হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই। হামাস এখনো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আরএইচ