ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অ্যামাজনের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে জেফ বেজোসকে ফোন করলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৬, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
অ্যামাজনের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে জেফ বেজোসকে ফোন করলেন ট্রাম্প

নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দামের পাশে নতুন শুল্কের দাম প্রদর্শনের কথা বিবেচনা করেছে অ্যামাজন। এতে ইন্টারনেটভিত্তিক পণ্য বিক্রির বৃহত্তম প্রতিষ্ঠানটির ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

এর জেরে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে ফোন করেন তিনি।  

হোয়াইট হাউসের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।  

তারা বলেন, অ্যামাজন তাদের ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দামের পাশে মার্কিন শুল্কের দাম প্রদর্শনের কথা বিবেচনা করছে - এমন তথ্য জানার পর বেজোসকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। পরে অবশ্য বেজোসের প্রশংসা করেন তিনি।  

ফোনালাপের বিষয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেফ বেজোস খুব ভালো মানুষ। তিনি দুর্দান্তভাবে সাড়া দিয়েছেন। আমাদের ফোনালাপটা দারুণ হয়েছে। বেজোস খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করেছেন। ’    

জানা গেছে, পাঞ্চবোল নিউজ নামে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রথমে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়। এতে বলা হয়, অ্যামাজন শিগগিরই ‘মূল্যের কত অংশ শুল্ক থেকে আসে তা পণ্যের মূল্যের ঠিক পাশে প্রদর্শন করবে। পদক্ষেপটি ট্রাম্পের শুল্ক কীভাবে পণ্যের দামকে প্রভাবিত করছে তা আমেরিকান ভোক্তাদের কাছে সরাসরি ব্যাখ্যা করবে।  

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রেসিডেন্টকে ফোন করে তথ্য জানানোর পরপরই রেগে যান ট্রাম্প। তিনি ফোন করেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ট্রাম্প রেগে আগুন হন এই কারণে যে, ‘একটি বহু বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি কেন ভোক্তাদের ওপর খরচ চাপিয়ে দেবে?’

মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট অ্যামাজনের এই পদক্ষেপকে ‘শত্রুতাপূর্ণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছেন এবং আরও বলেছেন যে, তিনি এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আগেই কথা বলেছেন।

লিভিটের মন্তব্যকে টেনে এনে একই সুরে বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, যদি কোনো কোম্পানি তার নিয়মের বাইরে গিয়ে এমন পরিবেশের সৃষ্টি  করে যে, শুল্কের কারণে দাম বেড়েছে, তাহলে এটি হবে একটি শত্রুতাপূর্ণ কাজ।

মঙ্গলবার সিএনবিসির এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটা অর্থহীন,  ১০ শতাংশ শুল্ক দাম বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। একমাত্র দাম বাড়তে পারে এমন পণ্য যা যুক্তরাষ্ট্রে উৎপন্ন হয় না। ’

সিএনএন-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে অ্যামাজনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই পদক্ষেপ ‘মূল অ্যামাজন সাইটের জন্য কখনই বিবেচনা করা হয়নি এবং অ্যামাজনের কোনো পণ্যে এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। তবে অ্যামাজন জানিয়েছে, তারা তাদের স্পিনঅফ ওয়েবসাইট হাউল-এ ‘নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক তালিকাভুক্ত করার ধারণা’ বিবেচনা করছে।

তিনি আবারও বলেন, ‘এটি কখনই অনুমোদিত হয়নি এবং হবেও না। ’ 

এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।