১৮ এপ্রিল, শুক্রবার ছিল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস। অথচ এদিনই ফিলিস্তিনি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তর বেথেলহেম গভর্নরেটে অবস্থিত আল-মাখরুর অঞ্চলটি বর্তমানে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা দখল করা হচ্ছে। জাতিসংঘ ২০১৪ সালে এই অঞ্চলকে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত করে।
আল-হকের বিবৃতিতে বলা হয়, আল-মাখরুর ও বাত্তির এলাকার ঢালু জমিতে স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা যুগ যুগ ধরে জলপাই, আঙ্গুর, শাকসবজি ও ফলমূল চাষ করে আসছেন। অঞ্চলটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক সেচ ব্যবস্থা এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য পরিচিত।
এতে আরও বলা হয়, আল-মাখরুর ফিলিস্তিনের বাকি থাকা অল্প কিছু সম্ভাবনাময় কৃষি এলাকার একটি। কিন্তু সেখানে ইসরায়েলি অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণ ও বসতি সম্প্রসারণ ক্রমেই বাড়ছে। ফলে এলাকার জীববৈচিত্র্য, কৃষিভিত্তিক উৎপাদন এবং ঐতিহ্যগত জীবনধারা ধ্বংসের মুখে পড়ছে।
আল-হক বলছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এর মধ্যে রয়েছে— জেরুজালেমের পুরোনো শহর ও এর চারপাশের দেয়াল, হেবরনের ঐতিহাসিক পুরোনো শহর, এবং গাজার সেন্ট হিলারিয়ন মঠ (তেল উম্মে আল-আমর)।
সংস্থাটি দাবি করে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যে আগ্রাসন শুরু করেছে, তাতে এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
এসএস/এমজে