ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪ শাওয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

তাইওয়ানের কাছেই চীনের সামরিক মহড়া 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৫
তাইওয়ানের কাছেই চীনের সামরিক মহড়া  ফাইল ছবি

তাইওয়ান দ্বীপের কাছেই সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ ঠেকানোর লক্ষ্যে তাদের সামরিক বাহিনী ওই উদ্যোগ নিয়েছে।

 

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির পূর্ব থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল শি ই জানান, ওই মহড়ায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং রকেট বাহিনী যুক্ত আছে। সাগর আর আকাশে যৌথ যুদ্ধের প্রস্তুতি টহল, ব্যাপক আধিপত্য অর্জনের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা, সাগর আর ভূমিতে থাকা টার্গেটে আক্রমণ এবং গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ও সাগরপথ অবরোধের মহড়ায় জোর দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে তাইওয়ানের কর্মকর্তারা বলেন, চীনের সামরিক বাহিনী দ্বীপটির দিকে দশটি সামরিক জাহাজ পাঠিয়েছে। তার জবাবে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী তাদের নিজস্ব নৌবাহিনী মোতায়েন করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাইওয়ানের আমেরিকান ইনস্টিটিউট বলেছে, এই মহড়াটি প্রমাণ করে যে চীন দায়িত্বশীল নয় এবং ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি ঝুঁকিতে ফেলতে তাদের কোনও সমস্যা নেই।

চীন বলেছে, ওই মহড়া তাইওয়ানের স্বাধীনতার পিছনে ছুটতে থাকা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির’ প্রতি একটি সতর্কবার্তা। যদিও দ্বীপটি চীনের অংশ, কিন্তু তা এমন একটি সরকারের অধীনে পরিচালিত হয় যার পেছনে আছে জাতীয়তাবাদী শক্তি, যারা ১৯৪০-এর দশকে চীনা গৃহযুদ্ধে কমিউনিস্টদের কাছে পরাজিত হয়েছিল। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির প্রকাশ করা একটি কার্টুন ভিডিওতে তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি লাই চিং-তেকে দ্বীপটির চূড়ান্ত ধ্বংসের ‘পরজীবী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের দাবি স্বীকার করে, কিন্তু চীনের প্রতিবাদ সত্ত্বেও তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দেয়। গত সপ্তাহে, তাইওয়ানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলিনার গ্রিনভিলে সমরাস্ত্র নির্মাতা লকহিড মার্টিন কারখানায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সেখানে তাইওয়ানের অর্ডার করা ৬৬টি উন্নত F-16 ব্লক-70 ভাইপার যুদ্ধবিমানের প্রথম কিস্তি সরবরাহ করা হয়।

তাইওয়ানে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহকে চীন উস্কানিমূলক এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের সহায়ক হিসেবে দেখে। চীনের নীতি শান্তিপূর্ণ পথে দ্বীপটিকে একীভূত করা। কিন্তু তাইওয়ান যদি নিজেকে একটি সার্বভৌম জাতি ঘোষণা করে, তাহলে চীন শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৫
এমএইচডি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।