শক্তিশালী ভূমিকম্পের মিয়ানমারের মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটি আগে থেকেই গৃহযুদ্ধে পর্যুদস্ত।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত সাগাইং অঞ্চলটি গৃহযুদ্ধের একটি অন্যতম ক্ষেত্র। সেটি গণতন্ত্রপন্থী প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর একটি শক্ত ঘাঁটি।
মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করে সামরিক বাহিনী। এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো লড়াই করছে।
দেশটিতে গৃহযুদ্ধে আনুমানিক ৩৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খাদ্য সংকট সেখানে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ভূমিকম্পের আগে, জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল, দেশটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোকের সাহায্যের প্রয়োজন হবে এ বছর। ভূমিকম্পের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলো।
বিবিসির সাম্প্রতিক এক ডাটা প্রজেক্টে দেখা যায়, সাগাইং ও মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলে লড়াইরত গোষ্ঠীগুলো বিচ্ছিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ফলে ত্রাণ ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সেনাবাহিনী এখন এক চতুর্থাংশেরও কম এলাকার নিয়ন্ত্রণ করছে।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সামরিক বাহিনী মিয়ানমারকে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। স্বাধীন গণমাধ্যম কার্যত নিষিদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর সাহায্য কার্যক্রম সীমিত। মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য কমানো মিয়ানমারকেও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে।
মিয়ানমারে শুক্রবার দুপুরে শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৪৪ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত ৭৩২ জনের বেশি।
ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, ভারত, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশেও কম্পন অনুভূত হয়। থাইল্যান্ডে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৫
আরএইচ